1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বনানীতে অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীরাই পুলিশের সোর্স

  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৬৫ Time View

সরকার রাজীবঃ ঢাকা উওর সিটির ১৯-২০নং ওয়ার্ডে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘সোর্স’রাই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত। মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, চোরাচালান, পতিতাবৃত্তি, জুয়া, খুন, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাসসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পর্কে (অপরাধীদের সঙ্গে) গোলমাল বাধলে কিংবা ‘লেনদেন চুক্তি’তে সোর্সরা পুলিশকে অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়, আর গ্রেফতার, মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়াসহ নানা ভয় দেখিয়ে অপরাধ স্পট ও অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা তোলে। পুলিশের নামেই তোলা হয় এসব টাকা। প্রশাসনে বদল হয়, বহাল তবিয়তে থাকেন সোর্সরা।

২০১৮ সালের ১২জুন, মহাখালী হাজাড়িবাড়ি দাদা ভবনের পেছনে নিজ মাদক স্পট থেকে আব্দুল আলীর ছেলে পুলিশের সোর্স শরিফ ওরফে পাগলা শরিফকে ১২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শরিফ বনানী থানার এএসআই ওমর ফারুক ও এসআই তাহের ভূইয়ার সোর্স পরিচয়ে নিজ বাড়িতে ইয়াবার ব্যবসা করছিল। সূএ জানায়, শরিফের নামে পূর্বে গুলশান থানায় একটি অস্র মামলা ও বনানী থানায় দু’টি মাদক মামলা রয়েছে।
২০১৮ সালে মে মাসের শেষে ৬০পিছ ইয়াবাসহ বাড্ডা থানায় গ্রেফতার হয় বনানী থানা পুলিশের সোর্স ও মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকার ইয়াবার ব্যবসায়ী মানিক ওরফে তৃপ্তি হোটেল মানিক। জানা যায়, মানিক বনানী থানা পুলিশের সবচেয়ে পুরাতন সোর্স শহীদের সহযোগী। শহীদের শেল্টারে মানিক ইয়াবার ব্যবসা করে।
২০১৮ সালের মে মাসের শেষে কড়াইল বস্তিতে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করে মহাখালী, বনানী এলাকার দুর্ধর্ষ চোর রিদয়কে। এসময় তার কাছ থেকে ২০পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রিদয় সোর্স শহীদের ভাগিনা।
স্থানীয় সূএে জানা গেছ, ১৯-২০নং ওয়ার্ডে অপরাধীদের মাঝে প্রথমেই যার নাম উঠে আসে তিনি হলেন- বনানী থানা পুলিশের সবচেয়ে পুরনো সোর্স শহীদ ওরফে ফর্মা শহীদ। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্রবহন-ব্যবহার, হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। বনানী এলাকার নকল হিজড়াদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করেন বনানী থানার পুলিশ সোর্স শহীদ।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বনানী থানা পুলিশের কথিত সোর্স শহীদকে ২০০৫ সালে বিস্ফোরক ও অবৈধ অস্ত্রসহ বনানী ২ নম্বর রোড এর হিন্দুপাড়ার বস্তি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমামলায় সাজা খেটে বের হওয়ার পর থেকেই শহীদ পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহাখালী টিএন্ডটি মাঠের পাশে গোডাউন বস্তিতে শহীদের ঘরে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল, বিয়ার ও মদের জমজমাট ব্যবসা চলছে। অভিযোগ আছে, তার ঘরে প্রতিদিন জুয়া খেলা চলে। জানা যায়, সম্প্রতি শহীদের নামে বনানী থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। তাকে এলাকায় দেখা গেলেও পুলিশ বলছে, ‘শহীদ পালাতক। আমরা তাকে খুঁজছি।’
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বনানী-গুলশান থানার অপরাধী সোর্সদের মধ্যে রয়েছে-
বনানী গোডাউন বস্তির পাটুরিয়া সুমন, হারুন, মফিজ, কাশেম, চেয়ারম্যান বাড়ির জাকির, মহাখালী প্রানী সম্পদ গবেষনা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন নাটা ইউসুফ, ওয়ারলেস গেট এলাকায় নিরব, বাবু, কড়াইল বেলতলীতে জামাই মালেক, ফরিদ ও তাসলি।
সমাজবাসীর কল্যাণের উদ্দেশ্যেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সোর্সদের ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে পুলিশের সোর্স নামটি জনমনে নেতিবাচক ধারণাই জন্ম দিচ্ছে বেশি। কারণ তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, তারা পুলিশবাহিনীর বিভিন্ন সদস্যকেও অপরাধের সঙ্গে কৌশলে জড়িত করছে। তাদের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ হচ্ছে, তেমনি জননিরাপত্তা পড়ছে হুমকিতে। একটি গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রে এমন চিত্র কারো কাম্য নয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..