বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:ফের বিমানে কলকাতা থেকে সরাসরি লন্ডন যাওয়া যাবে। ভারত সরকারের ‘বন্দে ভারত মিশনের’ সৌজন্যে এই পরিষেবা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা থেকে লন্ডনে এবং লন্ডন থেকে কলকাতার মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া সপ্তাহে দুইদিন বিমান চালাবে।
এই খবরে স্বভাবতই কলকাতা–সহ গোটা বাংলার সাধারণ বাঙালি উচ্ছ্বসিত। কারণ, দীর্ঘ দশ বছর পরে কলকাতা থেকে লন্ডনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জন্য বিদেশ থেকে কলকাতায় বিমান অবতরণে আপত্তি জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের সেই আপত্তিকে মান্যতা দিয়ে ভারত সরকার বিদেশ থেকে কোনও বিমানকেই কলকাতায় অবতরণের অনুমতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, আগে ইউরোপ থেকে যে সব বিমান এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করত, সেগুলি জ্বালানি সংগ্রহের জন্য কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণ করত। ফলে তখন কলকাতা থেকে অনেক যাত্রীই সরাসরি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওইসব বিমানে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু বিমান–প্রযুক্তির উন্নতিতে এখন একবার জ্বালানি ভরলেই বিমানগুলি আরও অনেক, অনেকটাই দূর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে।
তাই জ্বালানি ভরার জন্য বিমানগুলিকে আর কলকাতায় অবতরণ করতে হয় না। ফলে কলকাতা থেকে সরাসরি ইউরোপের দেশগুলিতে সাধারণ বাঙালি সরাসরি যেতে পারতেন না। যেতে হলে তাঁদের মুম্বই বা দিল্লি হয়ে যেতে হত। এবার সাধারণ বাঙালি অন্তত কলকাতা থেকে সরাসরি লন্ডন যেতে পারবেন এবং লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, কলকাতা–লন্ডন বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে। আপাতত সপ্তাহে দু’দিন এই পরিষেবা চালু থাকবে। প্রতি বৃহস্পতি এবং রবিবার কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়ে যাবে লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্টের উদ্দেশে। আর বুধ ও শুক্রবার লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্ট থেকে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দিকে ফিরে আসবে।
পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কলকাতা–লন্ডন যাতায়াতের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরুতেই বাঙালি যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। লন্ডন–যাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্তা জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রির এমন সংখ্যা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে কলকাতা–লন্ডনের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আরও বাড়তে পারে।