প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমটা ঠিক যেনো আন্দ্রে রাসেলের পক্ষে কথা বলছে না। তিনি নিজে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রাণপণ, প্রয়োজনের সময় খেলছেন ঝড়ো সব ইনিংস। কিন্তু তার ঝড় তোলার ইনিংসের পরেও জিততে পারছে না জ্যামাইকা তালাওয়াজ।
চলতি আসরে এখনও পর্যন্ত তিনটি ফিফটি হাঁকালেও, কোনোটিতেই দলকে জিততে দেখেননি রাসেল। যার সবশেষটি ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের বিপক্ষে। রাসেল ঝড়ের পরেও ১০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে হোল্ডারের বার্বাডোজ।
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন হলেও, এবারের যাত্রা একদমই সুখকর হয়নি বার্বাডোজের। ২০১৯ সালের সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন বার্বাডোজের সঙ্গী ছিলেন সাকিব। এবার নিষেধাজ্ঞার কারণে যেতে পারেননি সিপিএলে। ভালো করতে পারেননি বার্বাডোজও। আগেই বাদ পড়ে গিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকে। তবে শেষ ম্যাচটি জিতে অন্তত ইতিবাচকভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা।
শনিবার রাতের দ্বিতীয় ম্যাচে বার্বাডোজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় জ্যামাইকা। যার জবাবে ১৮.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বার্বাডোজ, উইকেট হারায় মাত্র ৩টি। তবে এতে করে শেষ চারের টিকিট পাচ্ছে না বার্বাডোজ। আবার বাতিল হচ্ছে না জ্যামাইকার সুপার ফোরে খেলা।
জ্যামাইকাকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার কৃতিত্ব ওপেনার জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও দলের সবচেয়ে বড় তারকা আন্দ্রে রাসেলের। দুজনই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। টপঅর্ডারে ৫৯ বলে ৫ চার ও ৪৫ ছয়ের মারে ৭৪ রান করেন ব্ল্যাকউড। চার নম্বরে নামা রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে সহজ ছিল না বার্বাডোজের কাজ। কেননা চলতি টুর্নামেন্টে এত বেশি রান তাড়া করে জেতেনি আর কোনো দল। তবে তাদেরকে নিরাপদেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও মিচেল স্যান্টনার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখার কাজটি করেন জোনাথন কার্টার।
ম্যাচটিতে নিজেকে প্রমোশন দিয়ে চার নম্বরে উঠে আসেন হোল্ডার। ইনিংসের ১৩তম আউট হওয়ার আগে করেন ৪২ বলে ৬৯ রান। এটিই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ম্যাচজয়ী ইনিংসটিকে তিনি সাজান ৯ চার ও ৩ ছয়ের মারে। বাকি কাজটুকু করেন ২১ বলে ৩৫ করা স্যান্টনার ও ৪৪ বলে ৪২ রান করা কার্টনার।