বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:পশ্চিমবাংলায় সোমবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক বিজেপি নেত্রী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি নেতা গৌতম চৌধুরি, সঞ্জয় সিং প্রমুখ। এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক (ডায়মন্ড হারবার রোড) দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।
রাধারানি নস্করের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির তরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পঞ্চানন নস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন বিষ্ণুপুর থানা ঘেরা করেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। সেই কর্মসূচিতেই দলীয় কর্মী–সমর্থকদের সামনে পুলিশের উদ্দেশ্যে অগ্নিমিত্রা পাল চ্যালেঞ্জ জানান পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে মহিলাদের যে কোনও নিরাপত্তা নেই, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না–কোথাও মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেন। এই খুন আর ধর্ষণের রাজনীতি করে বাংলায় যতই ভয়ের আবহ তৈরি করা হোক, ২০২১ সালে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শাসক দল জবাব পাবেই। এই ভয়ের আবহের মধ্য দিয়েই বিজেপি এগিয়ে যাবে রাজ্যের সিংহাসনের দিকে।’
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘বাংলায় আইন–শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সন্ত্রস্ত করে রেখেছে শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী। গোটা বাংলা জুড়ে ঘরে ঘরে বোমা, বারুদ, পিস্তল, গুলি মজুত রয়েছে। যে কোনও ঝামেলায় তাই মুড়ি–মুড়কির মতো গুলি চলে, বোমা পড়ে। এই রাজ্যকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছে এই সরকার। কিন্তু বিজেপি থাকতে তা হতে দেওয়া হবে না। শাসক দলের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রঘুনাথপুরে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রাধারানি নস্কর। তিনি বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। তাঁকে নিয়ে তাঁর পরিবার তীব্র উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কোনও পুলিশ কর্তাই। তবে, এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।