বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:
পশ্চিমবাংলায়ও মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্তার। ভারতীয় সময় শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। রাজ্যে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু হল। তবে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মৃত্যু প্রকৃতই করোনার জন্য হয়েছে, নাকি অন্য কোনও কারণে, তা খতিয়ে দেখে তবেই স্বাস্থ্যভবন এ বিষয়ে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়াত চিকিৎসক বিপ্লব দাশগুপ্ত সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের দায়িত্বে ছিলেন।
চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা হারিয়েছি চিকিৎসক বিপ্লব দাশগুপ্তকে। মানবতার জন্য তাঁর আত্মত্যাগ আজীবন আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে।’ তবে চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা উল্লেখ না করায় তাঁর সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনিও পাল্টা টুইট করে লিখেছেন, ‘বিপ্লব দাশগুপ্ত যে করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন, সে কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেননি।’ উল্লেখ্য, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোভিড–১৯ পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর শরীরেও করোনা উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তিনিও সল্টলেকের আমরি–তে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, প্রয়াত চিকিৎসক অসুস্থতার জন্য যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তিনিও করোনায় আক্রান্ত। এদিকে, প্রয়াত চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ যে করোনা সংক্রমণ, তা সরকার স্বীকার করুক বলে দাবি করেছে রাজ্যের প্রথম সারির ৬টি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ প্ল্যাটফর্ম। ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ নামে ওই সংগঠনের এমন বক্তব্যে রাজ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এর আগে কখনও কারও মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে তারা সরব হয়নি। তাদের বক্তব্য, বিপ্লব দাশগুপ্তই যে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে প্রথম শহিদ, তা স্বীকার করে নিক রাজ্য।