বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে বলে মনে করেন অগ্নিমিত্রা পাল। সোমবার বর্ধমান বিজেপির এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ ভাবেই তোপ দাগে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন বলে তিনি আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে।এদিন সকালে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে চলে যান দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে। সেখানেই তিনি চড়া ভাষায় পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এর দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং সায়ন্তন বসু পুলিশ ও প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। এদিন অগ্নিমিত্রাও সেই ধারাই বজায় রাখলেন। পরিষ্কার বলেন, ‘এই রাজ্যে পুলিশ শাসক দলের দাস হয়ে গিয়েছে। শাসক দলকে খুশি করতেই তারা ব্যস্ত। তাই বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ওপর শাসক দলের কর্মীরা হামলা চালালেও কোনও পদক্ষেপ করে না। বরং বিজেপি কর্মী–সমর্থকদেরই ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে বেশির ভাগ পুলিশের শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, আর ৬ মাস পরে এই সরকার থাকবে না। আমরাই ক্ষমতায় আসব। আমাদের সঙ্গেই তাদের কাজ করতে হবে।’
একই ভাবে তিনি আক্রমণ করেন হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও। কড়া সুরে বলেন, ‘এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যেই মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। এখানে ধর্ষণ করে খুন করলেও চিকিৎসকদের রিপোর্টে ধর্ষণ লেখা হয় না। না হলে চিকিৎসকদের চাকরি চলে যেতে পারে।’ এর পরই তিনি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেন, ‘এ রাজ্যে মহিলারা হলে সফট টার্গেট। কেউ যাতে বিজেপিতে যোগ দিতে না পারেন, তাই মহিলাদের আক্রমণ করে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল। তারা জানে তাদের পাশে পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু ৬ মাস পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘৯ বছর এই সরকার আমাদের ঠকিয়েছে। আর ৬ মাস অপেক্ষা করুন। তার পর সব বদলে যাবে।’
এদিন বিভিন্ন দল থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন অগ্নিমিত্রা পাল। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দিপ নন্দী। কর্মসূচি শেষ হলে দলের এক মহিলা কর্মীকে দেখতে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে যান। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের হামলায় দলের ওই মহিলা কর্মী আহত হন। বর্ধমানের পর মেমারিতেও কর্মিসভা করেন তিনি। সেখানেও শাসক দল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন।