প্রত্যয় নিউজডেস্ক: কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ফের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ অন্টারিওতে ১০ জনের বেশি সমাবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিয়মের অধীনে প্রদেশে কোথাও ঘরে ১০ এবং বাইরে ২৫ জনের বেশি সমাগম করা যাবে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শনিবার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগফোর্ড এই ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে টরন্টো, অটোয়া এবং পিল রিজিওনের জন্য জনসমাগম সংকোচিত করা হয়েছিল।
বিভিন্ন শহরের মেয়রদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এখন পুরো শহরে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল, বার, উপসনালয়কে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে। বিধিনিষেধ অমান্য করে জমায়েতকারীদের ১০ হাজার ডলার এবং জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের ৭৫০ ডলার জরিমানা করা হবে।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঘরের ভেতর এবং বাইরের সমাগম মিলিয়ে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। এর আগে ঘরে ২৫ জন এবং ঘরের বাইরে ১০০ জন পর্যন্ত জনসমাগম অনুমোদিত ছিল।
অন্যদিকে কানাডার ৪টি প্রাদেশিক সরকার স্বাস্থ্যখাতে আরও সহায়তার দাবি করেছেন ফেডারেল সরকারের কাছে। যদিও ইতোমধ্যে করোনা মোকাবিলা এবং নাগরিকদের সাহস জোগাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিভিন্ন খাতে জরুরি সহায়তা দিয়ে আসছে।
কানাডা সরকারের বিভিন্ন প্রদেশগুলোয় করোনা সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে মোট খরচের ২২ শতাংশ বহন করছে ফেডারেল সরকার। প্রাদেশিক সরকারগুলোর দাবি এ সংখ্যা ৩৫ শতাংশ করার। বর্তমানে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে প্রদেশপ্রতি গড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়।
করোনার কারণে প্রাদেশিক সরকারগুলো বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা বাড়িয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন কানাডার অন্টারিও, ম্যানিটোবা, অ্যালবার্টা এবং ক্যুইবেকের ৪ প্রদেশের সরকার প্রধানরা। তারা করোনা সংকটে স্বাস্থ্যখাতে ঊর্ধ্বমুখী খরচ সামাল দিতে ফেডারেল সরকারের কাছে আরও ২৮ বিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তা দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরুর প্রাক্কালে প্রতিরোধের জন্য কানাডা সরকারের একাধিক ভূমিকা এবং উদ্যোগ নেন। নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা,
প্রণোদনা, চাকরি, বাসস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্বাস্থ্যখাতেও যে পদক্ষেপ তা সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় হয়ে রয়েছে।