কাতারে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি পুরুষদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই নারীরাও। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকা নারীরা কাজ করছেন বাংলাদেশি পোশাকশিল্প নিয়ে। নারী উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহ দিতে, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে দূতাবাস।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা কিছুদিন আগেও ছিল হাতেগোনা। তবে দিন যত যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে কাজ করছেন তিন নারী উদ্যোক্তা।
চট্টগ্রামের শামীমা নবী জানান, গত ৫ বছরে ধরে তিনি তার স্বামীকে এ ব্যবসায় সহায়তা করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের আরেক নারী উদ্যোক্তা জাবরিনা খানম বলেন, আমাদের দোকানটাকে ছোট একটা বাংলাদেশ বলতে পারেন। এখানে বাংলাদেশি সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।
রংপুরের তৌফিকা চৌধুরী বলেন, আমাদের এখানে বাংলাদেশি পণ্যের অনেক চাহিদা। বাংলাদেশের সূতি কাপড়গুলো ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরা খুবই পছন্দ করেন। ভারতীয়রা প্রায়ই বলেন, আপনাদের দোকানের সূতি কাপড়গুলো অনেক ভালো। এ ধরনের প্রশংসা অনেক বড় পাওয়া। কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের কাজ শুরু করায় অত্যন্ত আনন্দিত দূতাবাস। দিয়েছে সহযোগিতার আশ্বাস।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিক্যাল ও ইকোনমিক্যাল কাউন্সিলর মো. মাহবুব রহমান বলেন, কাতারে নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত এবং তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের সব ধরনের সহায়তায় দূতাবাস প্রস্তুত রয়েছে।
জামদানি, ঢাকাই বেনারসি, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, কাতান শাড়ি, থ্রিপিসসহ নারীদের সব রকম পছন্দের পোশাক রয়েছে এই নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানে।