প্রত্যয় নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল…করোনা প্রতিরোধের চেষ্টায় সম্পুর্ণ পৃথিবী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। উপযুক্ত ভ্যাক্সিন এখনো আবিষ্কৃত হয় নি, তবে তা কি বিজ্ঞানীদের ব্যর্থতা নাকি করোনা ভাইরাসের স্বার্থকতা?
২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম পাওয়া যায় ভাইরাসটি। প্রথমে কিছু কারনবশত এর নামকরণ করা হয় “১৯-এনসিওভি”। পরবর্তীতে তার নাম হয় করোনা ভাইরাস। এটি এমন একটি ভাইরাস যা মানুষের শ্বাসতন্ত্রের কার্যাবলী ধ্বংস করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
২০২০ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২০৪টিরও বেশি দেশ ও অধীনস্থ অঞ্চলে ৫,৩২,১০০-এরও বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন । বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে আক্রান্ত ৩,২৪৯,২৬৪ জন ; মোট মৃত ২২৯,৪২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,০১৬,৯৭৮ জন।
এছাড়াও আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ এ বর্তমানে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১,০৬৭,৩৮২ জন ; মোট মৃত ৬১,৮৪৯ জন ; সুস্থ হয়েছেন ১৪৭,৪৮০ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৩,৫৯১ জন ; মৃত ২৭,৬৮২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭১,২৫২ জন।
আর আমাদের বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত ৭৬৬৭ জন, মৃত ১৬৮ এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬০ জন। যদিও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত সংখ্যা খুবই কম হলেও ব্যাপারটা মোটেও খুশির নয়, কেননা প্রতি দিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা যা পরবর্তীতে অন্যান্য দেশের মোট আক্রান্ত সংখ্যার মত আকার ধারণ করবে। ফলে বাড়বে মৃত্যু ঝুঁকিও; এর কারণও বেশ পরিষ্কার কেননা আমাদের দেশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই এই রোগের চিকিৎসার। পাশাপাশি গণহারে বাড়ছে ডাক্তার ও নার্সদের আক্রান্ত সংখ্যা।
এই ভাইরাস মোকাবিলায় একটা কাজই মুখ্য, তা হচ্ছে হতাশ না হয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে পদক্ষেপ নেয়া, জন সমাগম এড়িয়ে চলা এবং নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করা। ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার না হওয়ার দরুন আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিজেদেরই পরিচালনা করতে হবে।
লেখিকা: আশরাফিন লায়লা