সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সাততলা বাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজারটিতে ক্রোকারিজ, লেপতোষক, ওষুধের দোকানসহ অন্তত তিনশো’ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বস্তিঘরও পুড়ে যায়।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে নেভাতে ঝাপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অল্প সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। এক যোগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে তারা। অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়া মাএই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এবং তার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা আগুন নিভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিস ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেন। বাতাস থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা উৎসুক জনতাকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করে।
প্রাথমিকভাবে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়। এসময় তীব্র ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। যতই উদ্ধারকাজ এগুতে থাকে ততই পুড়ে যাওয়া সম্বল বের হয়ে আসে। সেই সঙ্গে বাড়ে আহাজারি আর সব হারানো মানুষের বিলাপ।
কাউন্সিলর মোঃ নাছির জানান, ‘অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তার কর্মীদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’