করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ১৩ জন।
মৃত ৩৮ জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৭১৩ জনে।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৮৮৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৯৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২০২টি। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও দুই হাজার ১৯৮ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ১৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬ হাজার ৭১৩ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ১৪১ (৭৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৫৭২ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৪২ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৫ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে চার, রাজশাহীতে এক, খুলনায় এক এবং রংপুরে দুজন।