সরকার রাজীব,নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর মহাখালীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় ছেয়ে গেছে। সিংহভাগ সড়ক দখল করে আছে নিয়ন্ত্রনহীন এসব অটোরিক্সা। যাদের অধিকাংশ চালকই শিশু। অটোরিক্সা চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। আইন লঙ্ঘন করে চালানো এসব অটোরিক্সার কারনে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দিনে দিনে অটোরিক্সার সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্যাডেল রিক্সায় মোটর ও ব্যাটারি লাগিয়ে যেসব অটোরিক্সা চলাচল করছে তার অনেক চালকের নেই কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা। অদক্ষ চালক অনেক সময় রিক্সা নিয়ন্ত্রন করতে অক্ষম হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া অপ্রয়জনীয় অতিরিক্ত হর্ন বাজানোর ফলে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন শিশু-কিশোর অটোরিক্সা চালাতে পারবে না। নিয়ম থাকলেও এসব কেউ মানছে না। অধিকাংশ অটোরিক্সা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খোলা অটোরিক্সা চালনার কারনে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দূর্ঘটনা। ওয়্যারলেস গেইট, দক্ষিনপাড়া, সাততলা, কড়াইলে অলি-গলিতে ছাড়াও বড় রাস্তায়ও বেপরোয়াভাবে চলছে এ অবৈধ অটোরিক্সা। চালকেরা মানছেনা কোন আইন কানুন, মানছে না কোন বাঁধা। দ্রুত গতিতে অটোরিক্সা চালকদের অসংলগ্ন চালনায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন বয়সী পথচারীরা।
জানা যায়, বিদ্যুৎচালিত অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জ দেয়ার জন্য বনানী গোডাউন বস্তি, কড়াইল বস্তি, সাততলায় রয়েছে একাধিক অবৈধ চার্জার কেন্দ্র।
অবৈধ হলেও অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রনে নেই কোন উদ্দ্যোগ। থানা পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে এসব অটোরিক্সা। যত দিন যাচ্ছে অটোরিক্সার পরিমান ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক প্রকার ঝুকির মধ্যে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে রিক্সা চালকদের তর্ক-বিতর্ক এখন নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি এবংবিশেষ দিনগুলিতে এরা এক প্রকার জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বলে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী। এর পরিমান এখন বেশি হয়ে গেছে। এটা এখন রোধ করা না হলে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।