জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি নেই প্রায় দুই বছর। সম্মেলনের দেড় বছর পার হলেও এখনও ঘোষণা হয়নি কমিটি। তবে পদের আশায় নিরবেই কাজ করে যাচ্ছেন দলের কর্মীরা। পদপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রে নিয়মিত দৌঁড়ঝাপ করছেন। সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি পদ পেতে কাজ করছেন তরুণ নেতারাও। তবে কর্মীদের আশা— তরুণ ও ক্লিন ইমেজধারী ছাত্র নেতারাই আসবেন জবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে জড়ালে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার চার মাস পর ২০১৯ সালের ২০ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দিন স্লোগান দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুলতান মো. ওয়াসি হিটস্ট্রোকে মারা যান। পরে মৃত ওয়াসির বিষয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও তা আর ফলপ্রসূ হয়নি। এমনকি কমিটি বিলুপ্তির প্রায় দুই বছর পার হলেও কমিটিবঞ্চিত শাখা ছাত্রলীগ।
জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা জানান, পদপ্রত্যাশীরা বেশিরভাগই হতাশ। অনেক আগেই তাদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও বোঝাপড়া ভাল না। এজন্য তরুণরা নেতৃত্বে আসলে শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে ছাত্রলীগ কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।
পদ পাওয়ার দৌঁড়ে তরুণ নেতাদের মধ্যে আছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সবেক দফতর সম্পাদক শাহবাজ হোসেন বর্ষন, সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক অঞ্জন চৌধুরী পিংকু, সাবেক সহ-সম্পাদক রিফফাত সাঈদ, সাবেক সহ-সম্পাদক আদম সাইফুল্লাহ, সাবেক সহ-সম্পাদক ইনজামামুল ইসলাম নিলয়, সাবেক সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন অনি, সাবেক সহ-সম্পাদক ঋত্বিক রায় বাহাদুর।