1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আসন ভাগাভাগি নিয়ে রফাসূত্র মিলল না, বাম–কংগ্রেস বৈঠক নিষ্ফল কলকাতায়

  • Update Time : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৯১ Time View

বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা : জোট হয়ে গিয়েছে। সে কথা উভয় দলের তরফে ফলাও করে ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকটি কর্মসূচিতে উভয় দলের কয়েকজন শীর্ষনেতাকে একসঙ্গে দেখাও গিয়েছে। কিন্তু এত মিল থাকা সত্ত্বেও আসন রফায় পৌঁছনো গেল না রবিবার। তাই বাম দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হলেও আসন বণ্টন নিয়ে রফাসূত্র অধরা থেকেই গেল।

বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম দলগুলি। কট্টর বামপন্থী মানুষের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই এই জোট করেছে। দুই দলই আপাতত ভুলতে চেষ্টা করছে প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রগতিশীল বলে কারা কাদের মনে করত, সে কথা। শুধু তাই নয়, বামপন্থীদের অনেকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে এমন কথাও এখন বলতে শুরু করেছেন, দেশের পক্ষে বিপজ্জনক শক্তি হল বিজেপি। এই শক্তির বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াই লড়তে হবে। তাই পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের সঙ্গেও জোট করার কথা ভাবুক বাম দলগুলি। কিন্তু বাম দলগুলির সিংহভাগ নেতা এখনও মনে করেন, পশ্চিমবাংলায় যদি তৃণমূলের সঙ্গে বাম দলগুলি জোট করে, যেহেতু বাংলার ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূলই, তাই রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বামেরা মানুষের মন থেকে আরও হারিয়ে যাবে। কারণ, বাম কর্মী–সমর্থকরা এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেবেন না। পশ্চিমবাংলার নির্বাচনে লড়াই করার যুক্তি হারিয়ে যাবে বামেদের। এখনও পর্যন্ত তাই বিজেপি এবং তৃণমূলকে সমান শত্রু ভেবেই বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত অটল রয়েছে সিপিএম ও অন্য বাম দলগুলি।

রবিবার কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলির তরফে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। বৈঠকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপির তরফে মনোজ ভট্টাচার্য ও সিপিআইয়ের তরফে স্বপন বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ১৩০টি আসন দাবি করা হয়। কিন্তু কংগ্রেসের এই দাবি মেনে নিতে পারেনি বামফ্রন্ট। স্বভাবতই বৈঠকে সহমত হতে পারেনি কোনও পক্ষই। তাই দুই পক্ষ ফের বৈঠকে বসবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জোট নিয়ে দুই পক্ষই যেহেতু আন্তরিক, তাই রফাসূত্র না মেলা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা। তাঁদের আশা, চলতি মাসেই আসন রফা সম্পন্ন হয়ে যাবে। তার পর কংগ্রেস ও বামেরা যৌথ ভাবে নির্বাচনে যাবে। প্রচারেও অংশ নেবে।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু রবিবার জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোনও তিক্ততা হয়নি। আলোচনা হয়েছে। আরও হবে। আর এ ভাবেই দুই তরফে আসন রফা হবে। অন্যদিকে, প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, এটা একটা প্রক্রিয়া। এক কথায় যে সব হয়ে যাবে, তেমন না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই আসন রফা নিয়ে নিশ্চয়ই কোনও সূত্র বেরিয়ে যাবে। তার আগে বাম দলগুলি নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করবে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও তাঁরা আলোচনা করবেন। ২৫ জানুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে ফের আলোচনা হবে। কিন্তু সেদিন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বৈঠকে থাকতে পারবেন না। তাই সেদিনের বৈঠকেও আসন রফা হওয়ার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। মুর্শিদাবাদ, মালদা ও পুরুলিয়া জেলা মূলত কংগ্রেসেরই শক্ত ঘাঁটি। এই জেলাগুলির সিংহভাগ আসনই চাইছে কংগ্রেস। গতবার এই জেলাগুলিতে কংগ্রেসের আসন ছিল ৯২। এবার আরও প্রায় ৩০টি বেশি আসন চেয়েছে তারা। অর্থাৎ, তাদের দাবি এই তিনটি জেলায় অন্তত ১২২টি আসন তাদের দিতে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের এই দাবি মেনে নিতে রাজি নয় সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।

জানা গিয়েছে, এই জেলাগুলির আসন নিয়ে রফায় পৌঁছনোর পরিবর্তে বৈঠকে দুই পক্ষের নেতাদের মধ্যে মতান্তর তীব্র হয়ে ওঠে। এমনকী, তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। কংগ্রেস নিজেদের সর্বভারতীয় দল বলে দাবি করে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে চেয়েছে। জানিয়েছে, এই জেলাগুলিতে বামেদের তুলনায় কংগ্রেসেরই শক্তি বেশি। তাই এই জেলাগুলির অধিকাংশ আসন তারা চেয়েছে। কিন্তু বিহার নির্বাচনে বাম দলগুলির সাফল্যের পর কংগ্রেসের এই দাবি নমনীয় ভাবে মেনে নিতে চায়নি বাম দলগুলি। আবার, এই জেলাগুলির বাইরের আসনগুলি নিয়েও দুই পক্ষ একমত হতে পারেনি। আগের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে আরও ৩০টি বেশি আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু কোনও বাম দলই কংগ্রেসের এই দাবি মেনে নেয়নি।

তাদের বক্তব্য, ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৫২টি আসন একা কংগ্রেসকে ছেড়ে দিলে বাকি ১৪২টি আসন এতগুলি বাম দলের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক–একটি বাম দলের পক্ষে পড়ে থাকবে খুবই সামান্য আসন। শেষে কংগ্রেস জানায়, গোটা রাজ্যে ১৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তাদের আপত্তি নেই। অর্থাৎ, বাম দলগুলির জন্য আরও ২২টি আসন তারা ছাড়তে রাজি আছে। তাতেও খুশি হতে পারেনি বাম দলগুলি। তবে বিমান বসু জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমেই রফা সূত্র মিলবে। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে দুই পক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..