আরাফাত রায়হান, চবি প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গতবছর ১৮মার্চ থেকে বন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে জানুয়ারি মাসে অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয় আবাসিক হল বন্ধ রেখে। ছাত্ররা বিভিন্ন সময় আবাসিক হল গুলো খোলার দাবি জানালেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না কমলে হল খোলা আবকাশ নেই বলে জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। কিন্তু গতকাল(৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ভবনে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানান শিক্ষার্থীরা।
মশিউর রহমান নাঈম পোস্ট করেন, মনোরম পরিবেশে চলছে বুকিং কার্যক্রম। আজই যোগাযোগ করে আপনার স্লট নিশ্চিত করেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, স্যার! চাকসু তে যারা বিবাহের নামে ডিজে পার্টি করে তাদের আইডি কার্ড জব্দ করেছেন? নাকি করোনার মাঝে সীমিত আকারে আপনারাও অংশগ্রহণ করেছেন..?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানতে চাওয়া আমার মন…
মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, হল বন্ধ কারণ অনেক শিক্ষার্থী একসাথে থাকবে কিন্তু চাকসু খোলা কারণ ঘটা করে অনুষ্ঠান চলবে!
তানজ্জীল হোসেন বলেন, ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার আপনারা ভার্সিটিটাকে কমিউনিটি সেন্টার বানাইয়া রাখছেন তখন করোনাতে আপনাদের কোন কিছু হয় না। অথচ যখন ভার্সিটি খোলা/হল খোলা/অন্যান্য কিছু খোলার কথা বলা হয় তখন করোনায় আপনাদের একদম শেষ কইরা দেয়, বাহ!
শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা আমরা হলে থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারছি না সেখানে কিভাবে প্রশাসন চাকসু বিয়ের অনুষ্ঠান করে! চাকসুতে বিয়ের অনুষ্ঠান করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জা বলেও শিক্ষার্থীরা দাবি করেন।
২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান শাওন বলেন, চাকসুতে হচ্ছে বিয়ে, শত শত দাওয়াত দিয়ে। আর প্রশাসনের মাথা ব্যথা এফ আর ক্যান্টিন খোলা নিয়ে।
ইমাম ইমু বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও চাকসুতে বিয়ে কিন্তু বন্ধ নাই। এগুলোতে করোনা ছড়ায় না। করোনা ছড়ায় শুধু ক্লাস রুমে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বললেই কিছু শিক্ষিত মানুষ এক কথায় ভেট্যু দিয়ে বসছে। নানান অজুহাত আর উদাহরণ দেখিয়ে এ বন্ধকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে। আমি জানিনা উঁনারা কেন বুঝেন না, এভাবে শিক্ষার্থীরা কতটা অস্বস্তিতে আছে। এখন হচ্ছে না এমন কিছুই নেই তবু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু!! নীতি নির্ধারকরা কি এগুলো আদৌ ভাবেন! মনে হয় না।