কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড়ে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকচাপায় পর্যটকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ আহত হয়েছে আরও ৯ জন।
শনিবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের চাপা দেয়। এতে সড়কের পাশে থাকা ২টি ভাসমান দোকান, ২টি সিএনজি অটোরিকশা ও ১টি টমটম ইজিবাইক দুমড়ে মুচড়ে যায়।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৬০), ঢাকা উত্তরা এলাকার সাহাদত হোসেন (৪৫) ও কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবি ওসমান গণি (৪৫)।
নিহত সাহাদত হোসেন রোটারি ক্লাব অব ঢাকা আরবানার বর্তমান সভাপতি। তিনি সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলেন। ঢাকায় ফেরার জন্য বাসে উঠার আগ মুহূর্তে তিনি ট্রাক চাপায় নিহত হন।
এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯ জন। তবে ট্রাকে চাপা পড়া একজন অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান।
কক্সবাজারের রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানা ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই কক্সবাজার শহরমুখী সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক (নং চট্টমেট্রো-ট-১১-৬৮২৮) কলাতলি ডলফিন মোড়স্থ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের চাপা দেয়। এসময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৯ পথচারী।
আহতরা হলেন- উখিয়ার কোটবাজার এলাকার আবদুল আমিনের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৫), বশরত আলীর ছেলে মুজিব (৪৫), শফি উল্লাহর ছেলে মো. জিকু (৩০), মহশখালী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জয়নাল (৩৫), তার বড় ভাই আবুল হোসেন (৪৫) ও ছেলে রাশেদুল হক (১৭)-সহ অন্তত ৯ জন।
খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহত ও নিহতের উদ্ধার করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত এক নারীসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আহতদের দুই জনকে গুরুতর অবস্থায় চমেকে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইনজীবি ওসমান গণির মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং অদক্ষ ড্রাইভারদের হাতে গাড়ি তুলে দেওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা বলে মনে করেন নাগরিক সমাজ।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।