1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ডিমলবাসীর জন্য অশনি সংকেত

  • Update Time : শনিবার, ৯ মে, ২০২০
  • ১৭১ Time View

মোঃ সরোয়ার জাহান,নীলফামারী ডিমলা প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ডিমলায়  শপিংমল, কাপড়ের মার্কেট সহ সকল দোকান খুলে দিয়ে ডিমলার প্রায়  ৪ লাখ মানুষকে যেন ‘অশনি সংকেত’ উপহার দিতে যাচ্ছি আমরা।ঈদ উল ফিতর সামনে রেখে আগামী ১০ মার্চ থেকে দোকানপাট খুলবে, সরকারি এমন ঘোষণা  রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে করোনাভাইরাস মহামারী রুপ ধারণ করবে বলে শঙ্কিত এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী উপজেলার চেয়ে সংখ্যায় প্রায় দ্বিগুন।

ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ প্রতিবেদককে জানান, গত দুই সপ্তাহে  ডিমলা উপজেলা থেকে নীলফামারী জেলা পুলিশের সহযোগীতায় প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক কৃষি শ্রমিক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসব শ্রমিক নিজ এলাকায় ফিরবে কেউবা আক্রান্ত হয়ে, কেউবা আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে। এদিকে  সাধারণ মানুষ নানান অজুহাতে ঘর থেকে নিয়মিত বাইরে আসছে। তাদের ঘরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। আর যদি সকল দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

গত তিন সপ্তাহে বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস ও কলকারখানা থেকে এলাকায় স্থানীয় সহ বহিরাগত অনেকে এসেছেন। তাদের অনেকেরই করোনা সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে, কেউবা আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঈদের আগে মার্কেট খুলতে লকডাউন তথা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তবে তা হবে ডিমলার জন্য মারাত্নক আত্মঘাতী।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন এর মতে, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। আমরা শুরু থেকেই  রাষ্ট্রের সমন্বয়হীনতা দেখেছি। যেদিন বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ালো সেদিনই শর্ত সাপেক্ষে দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ততে হতবাক বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, বেঁচে থাকলে জীবনে অনেকবার ঈদ আসবে।

ডিমলার শুভেচ্ছা শপিং সেন্টারের স্বত্তাধিকারী আবুজার রহমান আলাল বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মার্কেট বন্ধ রয়েছে, প্রচুর সঙ্কটের মধ্যেও ১৫ জন কর্মচারী নিয়ে দিনানিপাত করতে হচ্ছে।  ১০ মার্চ থেকে মার্কেট খোলা হলে ঈদের বেঁচাকেনায় কিছুটা হলেও আমাদের সঙ্কট কেটে উঠবে।সরকারী স্বাস্থ্যবিধী মানা সর্ম্পকে আলাল জানান, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলার চেষ্টা করছি, আমরা মাস্ক ব্যবহার, নিরাপদ দুরত্ব ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ প্রয়োজনীয় সুরক্ষার বিষয়টি  নিশ্চিত করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..