প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের বড় সরকারি সাতটি হাসপাতাল এবং বেসরকারি সাত হাসপাতালের কোথাও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বেড ফাঁকা নেই। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ১৬টি বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতলের ১০টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারের ১৬টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয়টি, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৯টি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের সবকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেডের আইসিইউতে রোগী ভর্তি আছেন ২১ জন। বেডের অতিরিক্ত রোগী ভর্তি সেখানে। কেবল নতুন স্থাপিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র চারটি।
অধিদফতরের তালিকাভুক্ত বেসরকারি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২২টি বেড, আসগর আলী হাসপাতালের ১৮টি, ইবনে সিনা হাসপাতালের সাতটি, ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫টি, ইম্পালস হাসপাতালের ৫২টি, এ এম জেড হাসপাতালের ১০টি এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৯টি বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি আছেন।
কেবল স্কয়ার হাসপাতালের ১৯ বেডের মধ্যে চারটি এবং এভার কেয়ার হাসপাতালের ২১টির মধ্যে ১০টি বেড ফাঁকা রয়েছে।
অর্থাৎ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলোর ১৭৩টি আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি আছেন ১৫৯ জন এবং বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৪টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মোট ৩০৫টি আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি আছেন ২৮৮ জন এবং বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৭টি।
এদিকে, রাজধানী ঢাকা ছাড়া এতদিন দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড ফাঁকা থাকলেও সেখানে রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছে, কমতে শুরু করেছে ফাঁকা বেডের সংখ্যা।
দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড রয়েছে ৬০০টি, তাতে রোগী ভর্তি আছেন ৪৪৫ জন এবং বেড ফাঁকা রয়েছে ১৫৫টি।সূত্র :বাংলা ট্রিবিউন।
আরও পড়ুন : দুই কোটি টাকা রেডি করেন, নইলে ক্রসফায়ার