দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক: করোনা শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী রয়েছে। এ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার ৪৬টি এলাকা ১২২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ২১৮ জন।
বুধবার বিশেষ বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ সব তথ্য জানান।
এতে জানা গেছে, রাজধানীতে শনাক্ত হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে রোগীর সংখ্যা হল- আদাবর ১, মোহাম্মদপুর ৬, বসিলা ১, ধানমণ্ডি ৯, ঝিগাতলা ৩, সেন্ট্রাল রোড ১, গ্রীণ রোড ২, শাহবাগ ১, বুয়েট এরিয়া ১, হাজারিবাগ ১, ঊর্দু রোড ১, চক বাজার ২, লালবাগ ৫, বাবুবাজার ২, ইসলামপুর ২, লক্ষ্মীবাজার ১, নারিন্দা ১, সোয়ারি ঘাট ৩, ওয়ারী ৯, কোতোয়ালী ১, বংশাল ১, যাত্রাবাড়ি ৫, পুরানা পল্টন ২, ইস্কাটন ১, বেইলী রোড ১, মগবাজার ১, বাসাবো ৯, রামপুরা ১, শাহাজাহানপুর ১, বাড্ডা ১, বসুন্ধরা ৩, নিকুঞ্জ ১, আশকোনা ১, উত্তরা ৫, গুলশান ৬, মহাখালী ১, তেজগাঁও ২, কাজীপাড়া ১, মিরপুর-১০ (২), মিরপুর-১১ (২), মিরপুর-১৩ (১), মিরপুর-১ (৮), শাহ আলী বাগ ২, পীরেরবাগ ১, টোলারবাগ ৪, উত্তর টোলারবাগে ৬ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকার মোট ৫২টি এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আর, জনসাধারণের রাজধানী ত্যাগ ও প্রবেশ বন্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থান রয়েছে।
পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন ও গলি লকডাউন করেছে প্রশাসন। রাজধানীতে ঢুকতে বা বের হতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হচ্ছে, নয়তো জরিমানা গুনতে হচ্ছে। অহেতুক আসা-যাওয়া বন্ধে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড ও চেকপোস্ট। উপযুক্ত কারণ ও প্রমাণ ছাড়া কাউকেই চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পূর্ণরূপে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুলেটিনে অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সম্ভাব্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা মহানগরে আইসোলেশন শয্যা প্রস্তত রয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫০টি। ঢাকা মহানগরের বাইরে দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৪৩টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে।
সব মিলিয়ে, দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৭ হাজার ৬৯৩টি। শয্যার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমেও এগুলো করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারি স্থাপনাগুলোকেও নতুন করে আইসোলেশন শয্যা হিসেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পিসিআর মেশিনে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করছি। বর্তমানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৬টি স্থানে পরীক্ষা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৯১ হাজার ২৯২টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৪টি বিতরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মজুদ আছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫১৮টি।