ওয়েব ডেস্ক: দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪১ হাজার ৭৯০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ হাজার ৮০ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ হাজার ৫৬১ ও সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৮ হাজার ১৪৯ জন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪১ হাজার ৭৯০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ইসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৮৪৬টিতে। দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ধাপে ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪ হাজার ৮০ জন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬৫৫ জনই স্বতন্ত্র। বাকিরা ১৭টি রাজনৈতিক দলের।
ইসি আরও জানায়, এ নির্বাচনে ৮৩৮টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ৭টিতে এবং রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার একটিতে এ দলটির কোনো প্রার্থী নেই।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দলের মধ্যে জাতীয় পার্টির ১০৭, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৬৮, জাপা-জেপির ৩, জাকের পার্টির ৪৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ২৬ ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। অন্যান্য দলগুলোর ২ থেকে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির কেউ এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জমা পড়া মনোনয়নপত্র আগামী ২১ অক্টোবর বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাছাইয়ে বাতিল বা গ্রহণ হওয়া মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ২৬ অক্টোবর। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ও আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু ২৭ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর।