নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের ভাওয়াল এলাকায় পতিত ধান ক্ষেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শাহ আলম রাউতি ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। ধানক্ষেত থেকে শাহ আলম (২৪) নামে এক অটোরিকশা চালকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অটোরিকশা নিয়ে ভাড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় নিখোঁজ হন শাহ আলম।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মিলছিল না। আজ সকাল ১০টার দিকে রাউতি ইউনিয়নের ভাওয়াল এলাকায় পতিত ধান ক্ষেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে তাড়াইল থানা পুলিশের একটি দল। একই সময় ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় শাহ আলমের অটোরিকশাটিও।
শাহ আলমের মামা জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরেনি শাহ আলম। রাত অনেক হলেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খুঁজতে বের হয় স্বজনরা। খোঁজে না পেয়ে রাতভর তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
পরে সকালে তাদের কাছে ভাওয়াল এলাকায় একটি পতিত ধান ক্ষেতে একজনের লাশ পরে থাকার খবর আস। সেখানে গিয়ে তারা লাশটি শাহ আলমের বলে সনাক্ত করে ।তবে, কেন এবং কিভাবে শাহ আলম হত্যার শিকার হয়েছেন তা জানা যায়নি।
তাড়াইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা ।