নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ উঠেছে বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে। ব্যবহারের কয়েক গুণ বিল তৈরির অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ বিতরণকারীরা বলছেন, করোনার প্রকোপের মধ্যে অনুমাননির্ভর বিল তৈরি করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একটি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে পাঁচটি ফ্লাট। প্রতিটি ফ্লাটে আলাদা আলাদা মিটার। প্রতি ফ্লাটে মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা করে হিসেবে বিল্ডিংয়ে মাসে বিল আসে ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকার মতো। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিলে ফ্লাট প্রতি চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা বিল দাবি করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডেসকো।
ওই বাড়ির মালিক বলেন, আমার পুরো বিল্ডিংয়ে মাসে সর্বোচ্চ বিল আসে সাত থেকে আট হাজার টাকা। কিন্তু এপ্রিল মাসে বিল এসেছে বিশ হাজার টাকার উপরে।
তিনি বলেন, অন্য সব ফ্লাটের কথা বাদ দিলাম। মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে আমার বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়ারা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। এখন পর্যন্ত তারা গ্রামেই আছে। অথচ তাদের ফ্লাটের এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে চার হাজার টাকা। এমনিতে সে ফ্লাটে মাসে বিল আসে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মতো।
এ রকম অভিযোগ আসছে সারা দেশ থেকেই। বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং নেয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণেই গড় বিল দিয়েছেন তারা।
তবে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন-ক্যাব।
এদিকে অনুমাননির্ভর বিল নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর।
অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করে সঠিক বিল জমা দেয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।