বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্তিতিতে দেশে এখন একটা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সী পিরিয়ড চলছে।এটা কোন রাজনৈতিক ব্যাপার নয়, কোন তামাশার ব্যাপারও নয় এটা।এই মুহূর্তে হেল্থ প্রফেশনাল টেকনিক্যাল লোকজনই জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নীতিনির্ধারক হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবতা এমনটা নয়।এই ক্রান্তিকালে অনেকটা আত্মগোপনে থাকা কোন এক দায়িত্বশীল পদাধিকারীর প্রতিদিন শরীর মাথা হেলিয়ে দুলিয়ে রোবটের মত মুখস্ত ছড়া পাঠের ভিডিও বার্তা দেখার জন্য দেশবাসী বসে থাকে না।জনগন দিনশেষে সমন্বিত কাজের ফিরিস্তি শুনতে চায়।
আর তাই,সংক্রমন রোগের মহামারী বিষয়ক জাতীয় কমিটিতে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়কে প্রধান করে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করা এখন সময়ের দাবি। এই জরুরী মুহূর্তে হেন্খ টেকনিক্যাল কমিটি প্রধানের উপর নন-মেডিক্যাল উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধের নির্দেশনা থাকাও জরুরী
শুধু অন্ধের মতো সই করায় সিদ্ধহস্ত দলদাস পুতুল অভিভাবকদের অজ্ঞতা,অদক্ষতা আর সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত সকল মহৎ উদ্দোগ ভেস্তে যাবার আগেই জরুরী ভিত্তিতে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিজ তত্বাবধানে নিয়ে দেশের জনগনের জানমাল রক্ষায় এগিয়ে আসা এখন খুব জরুরী ।
উপর ওয়ালার পরে একমাত্র জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এখন জনগনের জানমালের শেষ আশ্রয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজেই যখন বলেন যে, “আমি এতদিন যাদের উপর বেশী নির্ভর করেছি,তারাই আমাকে বেশী হতাশ করেছে”
ঠিক এরই ধারাবাহিকতায় …
•করোনার চেয়ে শক্তিশালী ভাইরাস পরিচয় দেয়া জননেতাদের দেখা মিলে এদেশে।
•সমালাচিত একই নেতা সরকার প্রধানের প্রনোদনা প্রস্তাবে অগ্রীম অনাস্তা জ্ঞাপনের দুঃসাহস দেখান।
•ঝুঁকি ভাতা বা স্বাস্থ্যবীমা তো অনেক দূরের ব্যাপার চিকিৎসকদের নূন্যতম দাবি ব্যক্তিগত সূরক্ষা সামগ্রীর পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয়তা অগ্রাহ্য করে বলপূর্বক ঝূঁকিপূর্ন কাজে বাধ্য করাতে তৎপর তাদের সর্বোচ্চ অভিভাবকরা।
•নিজ দেশের চিকিৎসকরা পিপিই না পেলেও আমেরিকায় স্বাস্থ্য সরন্জাম পাঠানোর সক্ষমতার ধাপ্পাবাজী করতেও ছাড়ছেন না দায়িত্বশীলরা।
•মানবতার অজুহাতে স্বেচ্ছায় ঝুঁকিপূর্ন প্রবাসীদের অনুপ্রবেশ ও ভঙ্গুর সঙ্গরোধ ব্যবস্থাপনা থাকা স্বত্তেও নিজেদের বিমান ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের শ্রেষ্ট ঘোষনা দিয়েই দায়িত্বশীলরা খালাস।
•পিপিই এর মানে জানা না থাকলেও তিনিই পেশাজীবিদের সর্বোচ্চ নেতা।
•প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রাষ্ট্রীয় প্রনোদনা ৭২ হাজার কোটির ৮ খানা গুরুত্বপূর্ণ শূন্য উধাও করে দেয়া জননেতা এখনও চলতি দায়িত্বে।
•জাতিকে লক ডাউন আর সাধারন ছুটির বিজ্ঞানসম্মত পার্থক্য বুঝাতে গিয়ে জনসমুদ্র তৈরী করেন তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা।
•রাষ্ট্র ঘোষিত ছুটিতে লাখো শ্রমিকের জীবন নিয়ে গুটিবাজি করা পেশাজীবি সংঘটনের সমর্থনকারী মন্ত্রনালয়ের দায়সারা আচরনের খেসারত দিচ্ছে নিরীহ গরীব মানুষগুলি।
এখন পর্যন্ত দেশের যে পরিস্তিতি তার জন্য অর্থের অভাব নয় বরং নীতিনির্ধারক মহলের সমন্বয়হীনতাকেই হয়ত দায় নিতে হবে।
শস্যক্ষেতে গরু ছাগল ছেড়ে দিয়ে চারদিকে মজবুত বেড়া দিয়ে কতটুকু সুফল পাওয়া যাবে তা সময়ই বলে দিবে।
একজন মানুষের দিকেই এখন ১৭ কোটি মানুষ চেয়ে আছে।মাননীেয প্রধানমন্ত্রীর শক্ত পদক্ষেপের আশায় দেশবাসী।
ডা:রনক
হেল্থ কলামিস্ট এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট
০৫-০৪-২০২০