নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানী গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় তদন্তে অগ্নিকান্ডে চিকিৎসাধীন রোগীসহ ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলার’ প্রমাণ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি। হাসপাতালটির করোনা ইউনিট ও এর আশপাশে অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে তদন্তে।
আজ রবিবার (৭ জুন) কিংবা আগামীকাল ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুত করা তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হতে পারে বলে জানা গেছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তে তারা ইউনাইটেড হাসপাতালের কিছু অবহেলা পেয়েছেন। তাদের কিছু উদাসীনতা ছিল।
শনিবার (৬ জুন) ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, নিহত ৫ জনের পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্স, সিকিউরিটি গার্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগের মোট ২০ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
আগুন লাগার পর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে- বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব কর্মকর্তার জবানবন্দী নিয়েছে তাদের কেউই শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার প্রমাণ পায়নি। এছাড়াও প্রায় সব প্রত্যক্ষদর্শী আগুনের আগে এসি থেকে ধোয়া বের হতে দেখেছেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, নতুন আইসোলেশন ইউনিটের কোনো ফায়ার সেফটি সনদ ছিল না। এর পার্টিশনগুলো পারটেক্স জাতীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অতিমাত্রায় দাহ্য পদার্থ ছিল। এছাড়া ইউনিটের আশপাশে ফায়ার স্টিংগুয়েশার ছিল না। এমনকি তার পাশের গার্ড রুমেও কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। আগুন লাগার পর সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নিজের প্রাণ বাঁচাতে সবাই বেরিয়ে যান। একজন কর্মকর্তাকে পানির মগ দিয়ে আগুনের দিকে পানি ছিঁটাতে দেখা যায়। প্রথমে কেউই এগিয়ে আসেনি।