‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। ’ গীতিকার গোবিন্দ হালদারের কথা ও সুরকার সমর দাসের সুরে সমবেত এ সঙ্গীতে পূর্ব দিগন্তের সূর্যের রং রক্তের মতো লাল বলা হলেও গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে পূর্ব দিগন্তে উদীয়মান ভোরের সূর্যকিরণ হয়ে গেছে ফিকে।
গত কয়েকদিন ধরে চিরচেনা সূর্যের রক্তিম আভা এক ঝলক দেখা দিয়েই লুকিয়ে পড়ছে কুয়াশার চাদরের। কোনোদিন আবার সূয্যিমামার দেখা মিলছে তেজহীন সাদা গোলাকার বৃত্তের রূপে। শনিবার (১২ডিসেম্বর) কাক ডাকা ভোর থেকেই কুয়াশায় আবৃত ছিল রাজধানী ঢাকা। জীবন-জীবিকার তাগিদ কিংবা প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া মানুষজন তাই গরম কাপড় গায়ে চাপিয়ে বের হয়েছেন ঘর থেকে। ভোরের কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস থাকায় জবুথবু হয়ে পথ চলছেন ঘরের বাইরে থাকা মানুষ।
কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ঘরে থাকা গৃহবধূদের বিপত্তিটা ভিন্নমাত্রার। ধোয়া কাপড় শুকাতে কষ্ট হচ্ছে। অনেকের কাছে শীতকাল ভালো লাগলেও কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীতটা ততোটাও উপভোগ্য নয় গৃহবধূদের কাছে।
এদিকে, বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি শাক-সবজি। দামও মোটামুটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। তাই অনেকেই কাক ডাকা ভোরে ছুটছেন বাজারে। পাড়া মহল্লায় ভ্যানগাড়িতে করে যারা শাক-সবজি ও ফলমূল বিক্রি করেন তারা ভোররাতে উঠে পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে আনছেন।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়- আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দেখা মিলতে পারে মাঝারি থেকে হালকা ধরনের কুয়াশার। পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১৩ মিনিট। রবিবার সূর্যোদয় ৬টা ৩৩ মিনিটে।