দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ দীর্ঘ ২০ বছরেও শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের খুনিদের। সরকারের পক্ষ থেকে আদালতের একটি রুলনিশির জবাব না দেয়ায় গত ১৫ বছর ধরে থমকে আছে মামলাটির বিচার কার্যক্রম।
আজ ১৬ জুলাই যশোরের সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে জনকণ্ঠ যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিক শামছুর রহমান সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
আদালত সূত্র জানায়, সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল খুন হবার পর ২০০১ সালে সিআইডি পুলিশ এই মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সে সময় বিগত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক আসামির আগ্রহে মামলার বর্ধিত তদন্ত করে শামছুর রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু সাংবাদিক নেতা ফারাজী আজমল হোসেনকে নতুন করে আসামি করা হয়।
১৫ বছর ধরে শামছুর রহমান হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মামলার বাদি নিহতের স্ত্রী সেলিনা আকতার লাকি হাইকোর্টে আপিল করে বলেন, মামলার অন্যতম আসামি খুলনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুশফিকুর রহমান হিরক পলাতক রয়েছে।
এই মামলার অন্যান্য আসামিদের সাথে খুলনার সন্ত্রাসীদের সর্ম্পক রয়েছে। ফলে তার পক্ষে খুলনায় গিয়ে সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব নয়। বাদির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি কেন যশোরে ফিরিয়ে দেয়া হবে না তার জন্য সরকারের উপর রুল জারি করেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে রুলনিশির জবাব না দেয়ায় সেই থেকে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে।
দিনটি উপলক্ষ্যে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন নিয়েছে নানা কর্মসূচি। একইসাথে দাবি জানাচ্ছে, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন