প্রত্যয় ডেস্ক: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে আস্ত ছাগল খেয়ে ফেলেছে অজগর। গ্রামবাসীও ছাড়ার পাত্র নয়। প্রতিবেশীর ছাগল খেয়ে বিনা বাধায় অজগরকে ফিরে যেতে দেয়ার পাত্র নন তারাও। সাপটিকে আর জঙ্গলে ফিরতে দেননি তারা। উৎসুক জনতা মিলে দড়ি দিয়ে সাপটির গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন।
আস্ত ছাগল খেয়ে নড়তে না পারা সাপটিও এতে বিড়ম্বনায় পড়ে যায়। ফুঁসফাঁস করলেও একদিকে পেটে ছাগলের ভার, অন্যদিকে গলায় লাগানো ফাঁস। নিরূপায় হয়ে জনগণের বিনোদনের প্রাণীতে পরিণত হয় সাপটি।
ছাগল খেয়ে ফেললেও সাপটিকে না মেরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মীদের খবর দেন স্থানীয়রা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা এসে অজগরটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যান। ছাগল খাওয়ার অপরাধে এরকম বিপদে ফেলে দেয়ার জন্য বিদায় বেলায় একটু রাগও দেখায় সাপটি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির পাঙা বটতলা ইকোসিটি এলাকার একটি গ্রামে। রবিবার বিকেলে স্থানীয় এক বাসিন্দার একটি ছাগল হারিয়ে যায়। আজ সকালে এলাকাবাী ছাগলটিকে খুঁজতে খুঁজতে পাঙা বটতলা এলাকার একটি চা বাগানে আসে। সেখানে এসে গ্রামবাসীরা দেখতে পান একটি বিশাল আকৃতির অজগর। অজগরটির পেট ফুলে ঢোল! সেটি নড়তে পারছে না। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন, অজগরটি-ই ছাগলটিকে খেয়েছে। চা-বাগানে অজগর দেখে চিৎকার জুড়ে দেন তারা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে আরো গ্রামবাসী।
এরপর অজগরটিকে বেঁধে রেখে বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে অজগর উদ্ধারে আসেন বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত ও তার টিম। এদিকে এত বড় সাপ দেখতে এলাকায় প্রচুর ভিড় জমে যায়।
অজগরটিকে উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসেন সঞ্জয় দত্তরা। এটি একটি ইন্ডিয়ান রক পাইথন বলে জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ আছে আজগরটি। সেটিকে বৈকণ্ঠপুরের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়েছে।