প্রত্যয় ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই অঞ্চলে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার কারণে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তাতে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এ ধরনের হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আঙ্কারা। শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অব্যাহতভাবে নিষেধাজ্ঞার ভাষায় কথা বলা গঠনমূলক নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তাদের এই নিষেধাজ্ঞা পরিকল্পনা বেশি দূর এগোতে পারবে না।
এর আগে, শুক্রবার শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছেন, আঙ্কারা যদি ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল এবং গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম নিয়ে তুরস্ক, সাইপ্রাস ও গ্রিসের মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক যে এলাকায় তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই সাইপ্রাস এবং গ্রিসও সেখানকার সম্পদের মালিকানা দাবি করে আসছে।
তবে গত মাসে তুরস্ক ও গ্রিস সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার ব্যাপারে একমত হওয়ার পর উত্তেজনা খানিকটা কমেছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইইউ নেতারা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তার একটা অংশ ইতিবাচক কিন্তু পুরো বক্তব্য তা নয়। ইইউ নেতারা বলেছেন, তুরস্ক যদি একতরফাভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাদ দিয়ে সংলাপ এবং পারস্পরিক আস্থার বৃদ্ধির চেষ্টা করে তাহলে তার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং তাকে কিছু সুবিধা দেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ বক্তব্যকে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বক্তব্যের কিছু অংশ বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।গত ১২ আগস্ট গ্রিক দ্বীপ কাস্তেলোরিজো উপকূলে তুরস্ক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ওরাক রেইস নামে একটি জাহাজ পাঠানোর পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। জাহাজটির নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ছোটখাটো একটি বহর।
গ্রিসও তুর্কিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ বেধে যায়। গ্রিস এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বললেও তুরস্ক এটিকে উসকানি বলে দাবি করেছে।