প্রত্যয় ডেস্ক: ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বন্যায় রাজ্যটিতে ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতির জেরে আসামে এখন পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের তৎপরতা চালানোর দাবি করলেও সর্বানন্দ সোনওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে জনগণের মধ্যে। দুর্গত একাধিক এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেই বন্যার করাল গ্রাসে পড়েছে আসাম। জানা গেছে, ৭৫ হাজার সাতশ হেক্টর কৃষিজমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উদালগিরি ও কামরূপ মেট্রো জেলা থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে রাজ্যের আরো ২৩ জেলায়।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ধেমাজি, লখিমপুর, নলবাড়ি, বরপেটা, কোকড়াঝার, গোয়ালপাড়া। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে কাজিরাঙা আর পবিতরা জঙ্গলের একাংশে।
বন্যায় আসামে দুই হাজারেরও বেশি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি, চাষের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আসামের বারপেটা জেলা। বরপেটায় বন্যার পানিতে আটকে রয়েছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ। একইভাবে দক্ষিণ সালমারা ও গোয়ালাপাড়াতেও যথাক্রমে দুই লাখের কাছাকাছি ও ৯০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে আসাম সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে সরকারি ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। সেখানেই চলছে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। যদিও সরকারি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ক্ষতিগ্রস্থদের তুলনায় সরকারি ত্রাণ নিতান্তই কম বলে অভিযোগ উঠছে।