জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার, জেলা প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম): ডাঃ দিদারুল হক সাকিব এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে সমাজসেবক, দানশীল এবং মানবিক ডাক্তার হিসেবেই খুবই পরিচিত। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সার্বজনীন কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের মাঝে আলোকিত মানুষ ।
গরীব দুঃখী মানুষের ডাক্তার খ্যাত, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা দানকারী, পরোপকারী একজন মানুষ, সমাজসেবক হিসেবে খুবই পরিচিত ডাঃ দিদারুল হক সাকিব। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা-সাহিত্য- ইসলামি সংস্কৃতি এবং সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থার প্রচার-প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাঁশখালী উপজেলার বানীগ্রাম গ্রামে জন্ম। এমবিবিএস, বিসিএস স্বাস্থ্য ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে কর্তব্যরত আছেন। ভালো ডাক্তার দয়ালু ও বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর সামগ্রিক জীবন পর্যালোচনা করলে বলা যায় দায়বদ্ধ সমাজ পরিবর্তনের এক স্বাপ্নিক কারিগর বলা যায়।
ডাঃ দিদারুল হক সাকিব একজন ধর্মপরায়ণ মুসলিম। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ, সৎ, আন্তরিক, অমায়িক এবং বিনয়ী ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর মধ্যে নেই কোনো অহমিকা বা অহংবোধ। বরং তিনি সকল স্তরের মানুষকে খুব সহজেই বুকে টেনে নেন। এজন্য সকলের কাছে তাঁর রয়েছে আলাদা ও স্বতন্ত্র গ্রহণযোগ্যতা। এবং সকলের কাছে অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ পরোপকারী ব্যক্তিত্ব।
মানবিক ডাক্তার তথা ডাঃ দিদারুল হক সাকিব নামেই পরিচিতি। রোগীদের সাথে অমায়িক ব্যবহার করে থাকেন তিনি। রোগী থেকে শুরু করে রোগীর স্বজনদের সাথেও রয়েছে তার সুসম্পর্ক। প্রতিদিন বাঁশখালী উপজেলার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষ রোগী তিনি চেম্বারে আসার আগেই লাইন ধরে বসে থাকে। রোগীরা নাম মাত্র ফ্রি টাকা দেন আবার অনেকেই ফি না দিয়েই চলে যায়। চাহিদা নেই ওনার। সেবার মন মানসিকতায় কাজ করেন তিনি। অনেক সময় রোগীরা চলে যান ডাক্তার সাহেবের বাড়ীতে। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
পরোপকারী দলে মধ্যে একজন ডাঃ দিদারুল হক সাকিব।
তাঁর সহায়তায় মানুষ বহুভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে এলাকার গরীব অসাহায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে অর্থদানে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ধর্মতত্ব,ধর্মীয় ক্ষেত্র তথা নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতসহ যাবতীয় বিষয়ে নিবেদিত।
ডাক্তার সাহেব নিজে সবসময় বই পড়েন এবং পাঠকদের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। বই পড়ার মাধ্যমেই আলোকিত সমাজ গঠন করা সম্ভব বলে তার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস। তাই তিনি নিজের আয়ের একটি অংশ তিনি বিভিন্ন সময়ে সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বানীগ্রাম তথা বাঙালি সকলের প্রেমে সিক্ত ব্যক্তিত্ব ডাঃ দিদারুল হক সাকিব।