মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার নতুন অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক সরকার। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার এবং স্বর্ণ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। খবর বিবিসির।
তবে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সামরিক জান্তা সরকার এখনও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছেন সামরিক সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন।
গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী। এই অভিযোগ এনেই বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং সু চিসহ তার দলের কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা নির্বাচনে কোনো অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পায়নি। এছাড়া দেশটির নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে সু চি বন্দি রয়েছেন। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেটাও পরিষ্কার নয়। তাকে গ্রেফতারের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক নতুন অভিযোগ আনা হচ্ছে।
তবে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে নতুন যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর। তিনি অবৈধভাবে যে পরিমাণ স্বর্ণ গ্রহণ করেছেন তার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
তবে সু চি কার কাছ থেকে কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণ করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন।
এদিকে, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর বৃহস্পতিবারও গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে ৬০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন।