প্রত্যয় ডেস্ক: অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে আগামী ৬ জুলাই কুয়েতের আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হতে পারে। কুয়েকের আরবি দৈনিক আল রাই রোববার এ খবর দিয়েছে।
এ দিকে কুয়েতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপি পাপুলের মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির কয়েকটি অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩৮ কোটি রয়েছে বলে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউসন দপ্তর সূত্র জানিয়েছে। আদালতে এমপি পাপুল দোষী প্রমাণিত হলে এই টাকা কুয়েত সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
আল রাই এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে অপরাধ তদন্ত সংস্থা সূত্র জানিয়েছে। এরই মধ্যে সংস্থা অভিযোগ প্রমাণের মত যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিবর্গের জবানবন্দিও তদন্ত সংস্থার কাছে আছে। এর বাইরে মানব পাচারের বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও রয়েছে।
বাংলাদেশি আইন প্রণেতা নিজেও ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সংস্থার কাছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ সহ এশিয়ার দু’টি দেশে অর্থ পাচারের প্রমাণও আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশি আইন প্রণেতার অপকর্মের সহযোগী তিনজনকে আটক বরে জিজ্ঞাবাদেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত সংস্থা। এ কারণে সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য ৬ জুলাই আদালতের কাছে তারিখ চাওয়া হয়েছে।
আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, এমপি পাপুলের মারাফিয়া কুয়েতি কোম্পানির কয়েকটি অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার রয়েছে। যার মধ্যে ৩ মিলিয়ন দিনার কোম্পানির মূলধন। অপরাধ তদন্ত সংস্থার অনুরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব একাউন্টে লেনদেন বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়ার কারণে এমপি পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য এরই মধ্যে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউসন দপ্তর এই অর্থ বাজেয়াপ্তের জন্য আদালতে পৃথক আবেদন জানাবে বলেও প্রতিবেনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমপি পাপুলের সহযোগী দুই সরকারি কর্মকর্তাকেও তদন্ত সংস্থা বর্তমানে জিজ্ঞানাবাদ করছে। এদের একজন সরকারি জনশক্তি কর্তৃপক্ষের পরিচালক এবং অন্যজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা।