1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

করোনার কারণে রাজশাহীতে কমেছে ধূমপান

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০
  • ১৮৫ Time View
করোনার কারণে রাজশাহীতে কমেছে ধূমপান

রাজশাহী প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহীতে ধূমপান কিছুটা কমেছে। করোনাকালের আগে অনেক ধূমপায়ীর দিনে যেখানে এক প্যাকেট সিগারেট লাগতো এখন তারা চার থেকে পাঁচটি সিগারেটেই দিন পার করছেন। আবার কিছু ধূমপায়ী ইতোমধ্যেই ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। এছাড়া অনেকেই ধূমপান ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ভাবছেন। গত এক সপ্তাহে রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫৪ জন ধূমপায়ীর সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

এই ৫৪ জনের মধ্যে ৪ জন ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, ৩৫ জন ধূমপান কমিয়ে দিয়েছেন, বাকি ১৫ জন আগের মত ধূমপান করেছেন। এদের মধ্যে ৭ জন করোনায় আক্রান্তের ভয়ে সিগারেটের পুরো প্যাকেট ক্রয় করে ধূমপান করছেন। আর যে ৩৫ জন কমিয়ে দিয়েছেন তারা পুরোপুরি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

সুজন আলী (২২)- রাজশাহীর একটি বাটা শো-রুমে কাজ করেন। করোনার কারণে ধূমপান বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্ধুদের কাছে শুনেছি- সিগারেটে করোনায় আক্রান্তের ভয় থাকে। তাই এখন সিগারেট একেবারে কমিয়ে দিয়েছি। এখন ৩-৪টিতেই দিন চলে যাচ্ছে।

আব্দুস সবুর (৪৫) নামে একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, মাঝেমধ্যেই ‘আইইসিডিআর’র নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করোনাকালে ধূমপান পরিত্যাগের বিষয়ে বলতো। করোনায় ধূমপায়ীরা বেশি আক্রান্ত কিংবা তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি বলে অবহিত করা হতো। এছাড়া আমাকে সব সময় এসিতেই থাকতে হয়। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে দেখলাম- ধূমপান ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকারে আসে না। এজন্য ধূমপানকে চিরতরে ‘না’ বলেছি।

রাজশাহীর একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা আবু দাউদ (ছদ্মনাম) বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ধূমপান কমাতে পারছি না। তবে আগে যখন সিগারেট সেবনের প্রয়োজন হতো তখন দোকানে গিয়ে একটি/দু্িট সিগারেট কিনতাম। তবে সেই অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। এখন পুরো সিগারেটের প্যাকেট কিনি। পাবলিক প্লেসে কিংবা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এখন আর ধূমপান করি না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলেন, করোনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে- ধূমপান কতটা ক্ষতিকর। প্রতিদিন ‘ডাব্লিউএইচও’ কিংবা ‘আইইসিডিআর’র সতর্ক বার্তা শুনতে শুনতে ধূমপান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব ও পাশের জনকেও ধূমপান ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছি।

তামাকের বিরুদ্ধে কাজ করা উন্নয়ন সংস্থা এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, লক্ষ্য করছি- করোনার কারণে রাজশাহীতে ধূমপায়ীরা ধূমপান কমিয়ে দিয়েছেন। আরেকটি ভালো দিক হলো- নগরীর পাবলিক প্লেসগুলোতেও ধূমপান অনেকটা কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এখন জেলা প্রশাসন যদি তামাকের অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধে পদক্ষেপ নেন তাহলে নগরীতে ধূমপান আরও কমে আসবে বলে আশা করছি।

রাজশাহীর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মোহাইমেনুল হক বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বের হওয়া ড্রপলেট থেকে করোনা ছড়ায়। সেই ব্যক্তি যদি ধূমপায়ী হয়-তাহলে তার ত্যাগ করা ধূমপানের ধোঁয়া থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। করোনা আক্রান্তের প্রধান ক্ষেত্র হলো শ্বাসযন্ত্র ও ফুঁসফুঁস। যা ধূমপায়ীদের আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত থাকে।

এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তি ধূমপায়ী হলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনাও অনেক বেশি। এজন্য উচিত- যারা ধূমপায়ী তাদের ধূমপান ত্যাগ করা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..