নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্ব আজ করোনার মতো ক্ষুদ্র ভাইরাসের কাছে অসহায় । দেশে দেশে লকডাউন হয়ে মানুষ গৃহবন্দি । চারিদিকে হাহাকার ও আতঙ্ক বিরাজ করছে । আমদের এখানে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেশিরভাগ মানুষ গৃহবন্দি । আমাদেরপরিবারের আমি একমাত্র মাঝে মধ্যে বাহিরে বাজার করতে যেতে হয়। বাসা থেকেই নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছি । আর যারা কাজ করতে পারছে না তাদের কমপক্ষে ৬০% বেতন সরকারি সাহায্য থেকে দেওয়া হবে। তারপরেও যদি কেউ সংকটে পড়েন সরকারি/বেসরকারি সাহায্য সংস্থা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষের বাজার খরচের জন্য সরকার সাহায্য প্রদান করছেন।
আমাদের দেশেও অনেকেই আপদ কালীন সংকটের জন্য নিজেদের পরিমাণ মতো খাদ্য সংগ্রহ করেছেন। আবার অনেকেই অর্থ সংকটের কারণে সেটা করতে পারেননি। বিশেষ করে দিনমজুর মানুষ গুলো সপ্তাহ বা ১৫ দিনের বেশি কখনোই খাদ্য মজুত করেন না। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের চাকরিজীবী অনেকেই মাসিক বেতন পেলে সংসারের পরবর্তী এক মাসের খাদ্য মজুত করে থাকেন। এখন লকডাউনের ফলে সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ।
আমার মতে মহামারী পরবর্তীতে মধ্যবিত্তরাই সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়বেন। কারন নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তরা এগিয়ে আসবে। কিন্তু মধ্যবিত্তরা লোক লজ্জায় না পারবেন হাত পেতে সাহায্য নিতে। না পারবেন কিছু করতে।
১২ দিন হলো সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমার মনে হচ্ছে সেটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে । কারন একজন দিনমজুর ও ১০/১২ দিনের খাবার ঘরে রাখেন। হয়তো ১% এর কম আছেন দিন আনে দিন খান। ইউরোপের অভিজ্ঞতায় বলছি লকডাউন অনেক লম্বা সময় ধরে চলবে । আমাদের দেশে লম্বা সময় ধরে লকডাউন চললে অনেকের অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিবে । চাকুরিজীবী মধ্যবিত্ত মানুষ গুলোই তখন বেশি সংকটে পড়বেন। তাই সবাই দিনমজুর মানুষের পাশাপাশি আপনার প্রতিবেশী মধ্যবিত্ত মানুষ গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন । তাদের পাশে দাঁড়ান।
একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন । যদি সম্ভব হয় কাউকে না জানিয়ে দান করুন (আল্লাহ্ এটাই বেশি পছন্দ করেন) । আর ছবি উঠাতে চাইলে (অনেকেই বলেন আপনার দেখাদেখি অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়) আপনাদের নিজেদের ছবি উঠান। যাকে দান করবেন ভুল করেও তার ছবি উঠাবেন না।
আল্লাহ্ আমাদের মহামারী থেকে হেফাজত করুন । আমাদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন ।
#বাবর
৭/৪/২০২০
দেশপ্রেম আমাদের একটি সহজাত প্রবৃত্তি।আর এই প্রবৃত্তি আরও বহুগুনে বেড়ে যায় দেশের বাইরে থাকলে।সুদুর প্রবাসে থেকে নিজের দেশের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দটা আসলে কোনদিন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।আর এই আবেগ আর ভালোলাগার জায়গা থেকেই জন্ম আমাদের “দৈনিক প্রত্যয়” এর।সারা বিশ্বের প্রতি মুহুর্তের ঘটে যাওয়া সত্য ও নিরপেক্ষ খবর গুলো আপনাদের কাছে পৌছে দেওয়াই আমাদের প্রত্যয়।আমাদের এই নিউজ পোর্টাল শুধু সংবাদ প্রচার পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবেনা বরং ইতিবাচক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে নানা ধরনের ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ।
সম্পাদকীয়
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মাজেদুল হক শিকদার মাসুম
নির্বাহী সম্পাদক : ফারহানা ববি মুক্তা
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: মোহাম্মদ ফরহাদ
Publisher & Editor
Mazadul Haque Shikder Masum
Executive Editor: Farhana Boby Mukta
Information & Technology Affairs Secretary: Mohammad Forhad