বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:
পশ্চিমবাংলায় করোনা সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তা জানতে সোমবারই র্যাপিড টেস্ট শুরু করে দিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া দিয়ে এই টেস্ট শুরু হয়েছে।
করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। অনেক দিন ধরে এমনই অভিযোগ করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। যদিও রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিরোধীদের কোনও অভিযোগকেই গুরুত্ব দেয়নি। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবিলায় আরও বেশি করে পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই ভাইরাস পরীক্ষায় যে কোনও রকম গাফিলতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না, রাজ্য সরকার তারই ইঙ্গিত দিয়েছিল সমস্ত জেলায় র্যাপিড টেস্ট করার কথা ঘোষণা করে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, ২৮টি জেলার ১৪টি হাসপাতালে র্যাপিড টেস্ট শুরু হবে। শুধু তাই নয়, স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে বেশি সংখ্যায় নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিল। সোমবার বেলগাছিয়া দিয়ে সেই টেস্ট শুরু করে দিল সরকার।
এদিন দুপুরের কিছু আগে এসএসকেএম হাসপাতালের একদল চিকিৎসক বেলগাছিয়ার বস্তি এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নমুনা সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য, লকডাউন ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে এই অঞ্চলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। সেখানে যে লকডাউন ভাঙা হচ্ছে, সেই খবর করতে গিয়ে কয়েকদিন আগে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। তাই এখানে নমুনা সংগ্রহ কতখানি স্বাভাবিক ভাবে করা যাবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে এদিন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে র্যাপিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহের কাজে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। নমুনা সংগ্রহ স্বাভাবিক ভাবেই করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।
এ ছাড়া জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতেও এই ধরনের র্যাপিড টেস্ট করবেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত মোট ১৪টি হাসপাতালে এই র্যাপিড টেস্টের সেন্টার করা হয়েছে। ১৭ এপ্রিল আইসিএমআরের নির্দেশ অনুযায়ীই এই টেস্টগুলি হবে। এর আগে আইসিএমআর জানিয়েছিল, এই অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখা যাবে। সেই সঙ্গে সংক্রমণ কতখানি ছড়িয়েছে, সেই বিষয়েও অনুসন্ধান করে দেখা যাবে। তবে এই টেস্ট রিয়েল টাইম পিসিআর মলিকিউলার টেস্টের বিকল্প নয়।