নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়ইতলা গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসোধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, কর্শাকড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যশোদল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পরে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
ইতিহাসের পাতায় নির্মম ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর। সেদিন কিশোরগঞ্জের যশোদল ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগীতায় নির্বিচারে হত্যা করে ৩৬৫ জন মানুষকে। ইতিমধ্যে শহীদদের স্মরণে বড়ইতলায় নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসোধ।
স্থানীয়রা জানান, পাক সেনাদের একটি ট্রেন ১৩ অক্টোবর সকালে এসে থামে বড়ইতলা গ্রামের কাছে। তারা ট্রেন থেকে নেমে স্থানীয় রাজাকার আলবদরদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা চালায়। এ সময় এক পাক সেনা দলছুট হয়ে পড়ে তখন বরাজাকারেরা গুজব রটিয়ে দেয়, পাক সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে। এরপরই হিংস্র হায়েনার মতো নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানানদার বাহিনী।
বড়ইতলা, চিকনিরচর ও দামপাড়াসহ আশপাশের এলাকার পাঁচ শতাধিক লোককে ধরে এনে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেল লাইনের পাশে জড়ো করে তারা। এক পর্যায়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ৩৬৫ জনকে। এ সময় আহত হয় দেড় থেকে দুইশতাধিক মানুষ।