কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ঘটনার ২০ বছর পর কৃষক তাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় দু’জনের ফাঁসি ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর আসামি সোহেল রানার বয়স কম হওয়ায় তার বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে। সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আ. রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, সাইকুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়া।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. সাইদু, আ. হামিদ, আ. রহিম, বাদল মিয়া, মোস্তফা, মিজান, সুলতান, রায়হান, হাবিব, ফারুক, জলে বেগম, আনিসা বেগম ও হেনা বেগম।
আরও পড়ুন : রোজার আগেই আরেক দফা বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
আসামিরা সবাই একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে মিজান ও সুলতান পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আ: ছাত্তারের ছেলে কৃষক তাজুল ইসলামের সাথে একই এলাকার সাইকুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে ২০০১ সালের পহেলা জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশে জমিতে হালচাষ করার সময় তাজুল ইসলামের ওপর হামলা করেন আসামিরা। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাত ও পিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান কৃষক তাজুল ইসলাম। আহত হন আরও কয়েকজন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মালা বেগম বাদী হয়ে একই দিন ১৬ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : চার-পাঁচ বছরের মধ্যে দারিদ্র্য বিদায় নেবে : আইজিপি
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে রায়ে খুশি মামলার বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে আসামিপক্ষ।
মামলার বাদী মালা বেগম জানান, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন : নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার মামলা : প্রতিবেদন ৪ এপ্রিল