প্রত্যয় ডেস্ক,কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ,প্রতিনিধিঃ কুলিয়ারচর ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, এক যুবকের হাতে এক কিশোর খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বাড়ির পাশে মিজান মিয়ার মুদির দোকানে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইমন (১৬) পিতাঃ ইব্রাহিম গ্রামঃ বড় ছয়সূতী, দক্ষিণ পাড়া। ঘাতক রহুল আমিন (২০) একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির মজিবর মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক রহুল আমিন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, মিজানের মিয়ার মুদির দোকানে নিহত ইমন সহপাঠীদের সাথে বসে লাইকি-টিকটক ভিডিও নিয়ে গল্প করছিলো। এই সময় দোকানের পাশে দিয়ে যাওয়ার কালে ঘাতক রহুল আমিন দোকানে বসে থাকা ইমনকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বললে, ইমনও পাল্টা জবাব দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ইমনের কাছে থাকা ছাতা নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় ঘাতক রহুল আমিন। পরে ইমন ছাতা এনে দিতে বললে, তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ঘতক রহুল আমিন রেগে গিয়ে দোকানের পাশে পড়ে থাকা বাঁশের লাঠি নিয়ে ইমনের মাথায় আঘাত করলে, সাথে সাথে ইমন মাঠিতে লুঠিয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন ইমনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে যায়। পরে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করে।
এই বিষয়ে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসা নিহত ইমনের বাবা ইব্রাহিম মিয়া জানান, নিহত ইমন আমার সাথে ঢাকা সিদ্দিক বাজারে জুতার কাজ করতো। বর্তমানে কাম-কাজ একটু মন্দা থাকায়, ইমন কিছুদিন পূর্বে বাড়িতে আসে এবং কিছু দিনের মধ্যেই আবার চলে যেতো।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোঃ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করি এবং নিহত ইমনকে আঘাত করা বাঁশের লাঠিটি উদ্ধার করি। পরবর্তীতে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ প্রেরণ করি।
রিপোর্টঃ আলি হায়দার