প্রত্যয় ডেস্ক, রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ পাহাড় ও সমতলে নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ-যৌন সহিংসতার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষন ও রাঙামাটিতে নারীর প্রতি সহিংসতার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ‘সম্মিলিত ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের” ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রাম্রাচাই মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জগদীশ তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সীমা ত্রিপুরা, কলেজ শিক্ষার্থী সুমনা চাকমা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান বলেন, সারাদেশসহ তিন পার্বত্য জেলায় প্রতিনিয়ত নারীরা ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশেও নারীরা এখন নিরাপদে ঘুরা-ফেরা করতে পারছেনা। এটা মেনে নেয়া যায় না। এসব ধর্ষণ-যৌন সহিংসতার বিচার না হওয়াতে একের পর এক এমন জঘন্য ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসে পাহাড়ে চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও একটিরও বিচার হয়নি।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা বলেন, গত একমাসে মধ্যে বান্দরবানের লামায় এক নারী, খাগড়াছড়ির মহলছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সবশেষে গত বুধবার রাতে খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে এমন ঘটনা নতুন নয়; অতীতেও এমন হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
এ সময় বক্তারা পাহাড় ও সমতলে নারী প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নের বিচার দাবি করেন এবং এসব বর্বর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রিপোর্টঃ চৌধুরী হারুনুর রশীদ