বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কুরবানীর ঈদ। কুরবানীর বাজারে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় গরু মোটাতাজাকরণ করলেও ক্রেতার অভাবে পশু বিক্রি অনিশ্চিত দেখে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের খামারীরা। কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে গড়ে উঠেছে ছোটবড় কয়েক হাজার পশুর খামার। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার খামারী আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল ও মহিষও রয়েছে। দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, লতাপাতা, খড়, ভুষি ও গুড়া,গুড় ইত্যাদি খাইয়ে পশু মোটাতাজাকরণ করছেন।
বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি পশু লালন পালন করতে খামারীদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।অনেকে ব্যাংক বা এনজিও থেকে সুদের উপর থেকে ঋণ নিয়ে পশু লালন পালন ব্যয় করে আসছেন।কুরবানীর বাজারে পশু বিক্রি করে দেনা শোধ দিয়ে নিজেরা লাভবান হবেন ।কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে বাইরের এ বছর জেলা থেকে পাইকার আসতে না পারায় বেশিরভাগ খামারের পশু অবিক্রিত খাকার আশংকা করছেন খামারীরা।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও খামারী তৈমুর রহমান জানান, প্রতিবছর এই সময় কুরবানীর গরু কেনার জন্য বাইরে থেকে পাইকাররা আসত।কিন্তু করোনার কারণে এ বছর এখনও তেমন কোন পাইকারের দেখা মিলছে না।তাছাড়াও ঢাকা সহ দেশের বিভাগীয় শহরের গরুর হাট বন্ধ করে দেওয়ায় পাইকাররা গরু কিনতে আগ্রহ পাচ্ছে না।একই কারণে গরু কিনে নিয়ে গিয়ে রাখার ও খাওয়ানোর ব্যবস্থা না থাকায় এ বছর পাইকারদের আসার সম্ভাবনা কম।সে কারণে করোনার একটা প্রভাব খামার গুলোতে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
১নং রুহিয়া ইউনিয়নের মেম্বার ও নতুন খামারী আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি করুবানীর বাজারে বিক্রির জন্য ১০টি গরু লালন পালন করেছি।এজন্য অনেক পরিশ্রম ও টাকা ব্যয় হয়েছে।কিন্তু করোনার প্রভাবে কোন পাইকার পাচ্ছি না।এ অবস্থায় গরুর দাম না পেলে আমার অনেক টাকা ঘাটতি হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা (ডিএলও) কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কুরবানীর পশুর চাহিদা পুরণে ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ৮০ হাজার ৫শ’ গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণ করা হয়েছে ।এসব গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে ।কুরবানির ঈদের ১৫ দিন পূর্বে জেলার হাটবাজার গুলোতে মেডিক্যাল টিম কাজ করে।ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।কোন প্রকার স্ট্রেরেট হরমোন ইত্যাদি প্রয়োগ করে গবাদী পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।