1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো জনস্বার্থবিরোধী: যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
  • ১৪৭ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের দুর্দিনে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে জনস্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মঙ্গলবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য সরকার সারাদেশে প্রায় দুই মাসের অধিক সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছিল। ৩১ মে থেকে বিমান, ট্রেন ও লঞ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পূর্বেও নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল শুরু করলেও। দেশের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর ব্যবহার করা গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। করোনার এই দুর্দিনে ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অযৌক্তিক এবং জনস্বার্থবিরোধী। এটি দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়। গত তিন মাস ধরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার অজুহাতে অনেক শ্রমিকের ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় পকেট খালি হওয়া সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে গিয়ে কী করে অতিরিক্ত বাস ভাড়া দেবেন সেটা মোটেও ভাবেনি সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছে, সেখানে জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি গণমানুষের সঙ্গে প্রতারণারই শামিল। সরকারের অন্য কর্মসূচিগুলোরও পুরো বিপরীত। এখানে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ মোটেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো, পরিবহনের চাঁদাবাজি বন্ধ, যানজট নিয়ন্ত্রণ করে বাস-মিনিবাসের ট্রিপ বাড়িয়ে পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো। প্রয়োজনে কিছুটা ভর্তুকিও ঘোষণা করা যেতো।

বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘বাড়তি ভাড়ার জন্য যে সুপারিশ বিআরটিএ’র কমিটি করেছে তাতে বাস মালিকদের দাবি বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু বাসগুলোর ট্রিপ সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা, যানজট কম হওয়ায় জ্বালানি খরচ কমে যাওয়া, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমার কারণে বাংলাদেশেরও কমানো, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা– এসব বিষয় বিবেচনা না করে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাড়া বাড়ানো মালিক, শ্রমিক ও সরকারের একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীভাড়ায় কিছুটা ভর্তুকির প্রয়োজন হলে সরকার দিতে পারতো। সরকার অন্য সব সেক্টরে ভর্তুকি দিতে পারলে যেখানে সরাসরি জনগণ জড়িত, তাদের ক্ষেত্রে কেন পারবে না? আমরা মনে করি, সরকার মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সে কারণে তাদের অনুরোধে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। মালিকরা অতিরিক্ত মুনাফার আশা না করে স্বল্প লাভে করোনা মহামারির এই দুর্দিনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারতো।’

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..