নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
১৩ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের প্যারাডাইস ক্যাবল কারখানার শ্রমিকরা চতুর্থ দিনের মতো শ্রমভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় শ্রমিকরা শ্রম ভবন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপিও। তবে এখনো বেতন পরিশোধে পাওয়া যায়নি কোনো প্রতিশ্রুতি। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
শ্রম ভবনে প্যারাডাইস ক্যাবল শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থান আন্দোলনে আজ দেশের যুব সমাজের অধিকার রক্ষা আন্দোলনে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সংহতি জানিয়েছে। উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, প্রাক্তন নেতা এম আই টিটো, প্রেসিডিয়াম সদস্য অভিনেত্রী সুমনা সোমা, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম রাব্বী খান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
শ্রমিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুব ইউনিয়ন শ্রমিকদের আন্দোলন পরিচালনা তহবিলে আর্থিক অংশগ্রহন এবং শ্রমিকদের মাস্ক প্রদান করে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্যারাডাইস ক্যাবল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রমিকনেতা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শ্রমিকনেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক, ইকবাল হোসেন, কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুবেল, শ্রমিক আব্দুল কাইউম, নিলুফার ইয়াসমিন, মোহাম্মদ ডালিম, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা প্রতারক মালিকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তারা বলেন, শ্রমিকের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সংকটের সুরাহায় সরকারি কোনো সংস্থা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অগ্রগতির কথা বলছেন না। শ্রম ভবনের বারান্দায় শ্রমিকদের এই দিন-রাত মানবেতর অবস্থান সত্ত্বেও তারা নির্বিকার। বক্তারা সংকট সমাধানে সরকারের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানান।
শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ বলেন, শ্রমিক পরিবারগুলো ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে আর কোনোভাবেই জীবন ধারণে সক্ষম হচ্ছে না। এই মূহুর্তে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে মালিকপক্ষকে কোনোভাবে বাধ্য করা না হলে তাদের জীবন বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যাবে। শ্রমিকরা অসহায় এবং সর্বত্র প্রত্যাখ্যাত হয়ে শ্রম ভবনের বারান্দায় বসেছে। ১৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কারখানার উৎপাদন চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা অ্যাড. মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, এম এ শাহীন, মঞ্জুর মঈন, শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, পরিবহন শ্রমিকনেতা হযরত আলী, সিপিবি শান্তিনগর শাখার সহ-সম্পাদক ফারহান হাবীব, ড্রাগন সোয়েটার কারখানার শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস, ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু প্রমুখ।