বিশেষ সংবাদদাতা:
৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হল মধুবালার। তাই শোকাহত জলদাপাড়া। মধুবালা আসলে একটি হাতি। ১৯৩০ সালে জন্ম হয় মধুবালার। ১৯৭০ সালে পশ্চিমবাংলার বন দফতর তাকে বিহারের শোনপুরের পশুমেলা থেকে কিনে নিয়ে আসে। তার পর কিছুদিন ট্রেনিং দিয়ে বন দফতর তাকে দায়িত্ব দেয় জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল পাহারার। টানা ৫০ বছর ধরে নিজের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গেই পালন করে গিয়েছে মধুবালা।
৫০ বছর ধরে কাজ করে যাওয়ার সুবাদে জলদাপাড়ার মানুষের সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় মধুবালার। স্থানীয়রা প্রত্যেকেই তাকে চিনতেন। মধুবালাও তাঁদের চিনত। কখনও স্থানীয় মানুষের প্রতি তাকে বিরক্ত হতে দেখা যায়নি। জঙ্গলে বিপদে পড়লে সেখানকার মানুষের উপকারই করেছে মধুবালা। তাই তার প্রতি এখানকার মানুষের ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম। তার মৃত্যুতে স্থানীয়দের সকলেরই মন খারাপ। তার মৃত্যুতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরাও শোকাহত। রবিবার তার মৃত্যু হয় ময়রাডাঙা বিটে। বন দফতর জানিয়েছে, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে মধুবালার। বয়সের জন্যই দাঁতও পড়ে গিয়েছিল তার। এমনকী, কিছুদিন ধরে খেতেও পারছিল না। বৃদ্ধ বয়সে যে সব রোগ দেখা যায়, তার সেইসব রোগও হচ্ছিল।