জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে অস্থিরতা । দফায় দফায় ব্যপক চাঁদাবাজি , নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর , হুমকি-ধামকি সহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে । দূর্বিত্ত ও চাঁদাবাজদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্থানীয় শিক্ষার্থী এই চাঁদাবাজির ঘটনায় সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে ।
গতকাল রোববার বেলা ১১ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র আবু নাইম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা । একজন নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করার পর ভবনে অবস্থানরত সকল শ্রমিকদের প্রায় ঘন্টাখানিক অবরুদ্ধ করে রাখে তারা । তাদের অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু করলে পরিনতি ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয় । কিছুক্ষণ পর বেলা ২ টার দিকে , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও কয়েকজন প্রশাসনিক অফিসার ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পুনরায় কাজ শুরু করে শ্রমিকরা ।
এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও বিবিএ অনুষদের লিফট এর কাজে চাঁদা দাবি করে এই দুর্বিত্তরা । এ সময় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লিফটের কাজ বন্ধ থাকে । বিষয়টি ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও বাংলাদেশ পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রান্ঞ (ডিএসবি) এর তদন্তনাধীন রয়েছে ।
গত ০৯ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নির্মাণ শ্রমিক সোহেলকে মারধর করে আবু নাইম । সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের টাইলসের নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে নিজ মটর সাইকেলে করে কয়েক ব্যাগ টাইলস ও পনের ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে তা বাজারে বিক্রয় করে আবু নাঈম ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা । এভাবে একের পর এক অপরাধ মূলক কাজ ঘটিয়েই চলছে তারা । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব কিছু জেনেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে । এই কাজগুলোর সাথে জড়িত তিনজন হচ্ছে জাককানইবির ছাত্র । আর বাকি কয়েকজন হচ্ছে স্থানীয় বখাটে সন্ত্রাসী ।
জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হচ্ছে-
১)আবু নাঈম , ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ , সেশন : ১৪-১৫ ।
২) অভি সাব্বির , অর্থনীতি বিভাগ , সেশন : ১৫-১৬ ।
৩) আব্দুল কাইয়ুম ,ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ , সেশন : ১৫-১৬ ।
উল্ল্যখিত তিনজনই জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব এর অনুসারী । এদের জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ঠ তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে ।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যপক ক্ষোভ । কারা চাঁদাবাজি করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কেন এদের ধরতে পারছে না , এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয় । জাককানইবির সম্মানিত উপাচার্য ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন , ‘এতে বহিরাগত ও স্থানীয় বখাটে সন্ত্রসীরা জড়িত ।
উল্লেখ্য , চাঁদাবাজ সম্রাট ‘আবু নাইম’ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, নারী কেলেঙ্কারীর, বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর, প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নানা অভিযোগ রয়েছে ।