ধর্ম ডেস্ক: জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ওয়াজিব আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার সালাতের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুল (সা.) বলেছেন,
من تَرَكَ ثلاث جمعٍ تهاوناً بها طبع الله على قلبه
যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২) অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
জুমার দিন সকাল থেকেই জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। ব্যস্ততা থাকলেও জুমার নামাজের সময় বের করা, কোথায় নামাজ পড়া যাবে সে বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা থাকা দরকার যেন কোনোভাবেই জুমার নামাজ ছুটে না যায়। এরপরও কোনো বিশেষ ব্যস্ততার কারণে জুমা ছুটে গেলে জুমার নামাজের পরিবর্তে ওইদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হবে।
জুমার নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকায় তায়াম্মুম করা জায়েজ নেই। কেউ যদি জুমার জন্য মসজিদে গিয়ে দেখে সেখানে অজুর ব্যবস্থা নেই, অন্য কোথাও গিয়ে অজু করে এলে জুমা শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে, তবুও অজুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা যাবে না। বাসায় বা যেখানে পানি পাওয়া যায়, সেখানে গিয়ে অজু করতে হবে। অজুর পর জুমা না পাওয়া গেলে জুমার পরিবর্তে জোহরের নামাজ পড়ে নেবে।