নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন। প্রথমদিনে আটটি ট্রেন চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হবে। স্টেশনে ভিড় এড়াতে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হবে না।
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই কথা জানান। আজ থেকেই অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী নেবে তাই ভাড়া বাড়ছে। তবে আমরা রেলের ভাড়া বাড়াচ্ছি না। রেলে একটু বেশি ভিড় হবে। তাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা পুরো টিকেট অনলাইনে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, আগামীকাল ৩১ মে থেকে প্রাথমিকভাবে ৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট লাইনে কালনী, সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনে পাহাড়িকা বা উদয়ন এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী লাইনে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা লাইনে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় লাইনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট লাইনে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে রেল ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন হচ্ছে। কেউ টিকিট ছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে না। দ্বিতীয় ধাপে ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচলের প্রভাব সরকার পর্যবেক্ষণ করবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, এখন থেকে বিমানবন্দর রেল স্টেশন, জয়দেবপুর ও নরসিংদী রেল স্টেশনে কোনও ট্রেন থামবে না।
অনলাইনে শতভাগ টিকিট ছাড়ার কারণে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই তারা টিকিট পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। এর জবাবে রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্টেশনে ভিড় এড়াতেই এ ব্যবস্থা। সব টিকিট অনলাইনে দেওয়ায় ঈদের মতো চাপ হতে পারে। এতে টিকিট কাটতে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলেও স্বীকার করেন মহাপরিচালক।