1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ডা. জেনিকে ‘পাপিয়া’ বলা ওসির শাস্তি দাবি

  • Update Time : সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫২০ Time View

প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক : এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনির গাড়ি আটকে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে যৌন ব্যবসায় জড়িত পাপিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিজ-এফডিএসআর।

একে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নারীদের সঙ্গে কথা বলবার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী পুলিশ নিয়োগেরও দাবি করে তারা।

রোববার কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে বাটা সিগন্যালে ডা. জেনির গাড়ি আটকে তার পরিচয়পত্র দেখতে চান নিউমার্কেট থানার ওসি। ওই গাড়িতে এই চিকিৎসকের কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের স্টিকার লাগানো ছিল। তার গায়েও ছিল অ্যাপ্রোন। তবে ওসি চাপ দিতে থাকলে তর্কাতর্কি হয়।

এর এক পর্যায়ে ওসি কাইয়ুম তাকে ভুয়া ডাক্তার বলে পাপিয়ার সঙ্গে তুলনা করেন বলে কাছে অভিযোগ করেছেন ডা. জেনি।

এই চিকিৎসক একজন রেডিওলজিস্ট। রাতে রেডিওলজিস্টদের সংগঠন এফডিএসআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা পাপিয়ার সাথে পুলিশ ডা. জেনির তুলনা করেছে, যা একজন নারী চিকিৎসকের জন্য চরম অবমাননাকর।’

গত বছরের শুরুতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শামীমা নূর পাপিয়াকে যিনি যৌন ব্যবসা করতেন বলে অভিযোগ আছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের প্রথম দিনেই প্রচুর সংখ্যক চিকিৎসক ডিউটিতে যাবার পথে একাধিক স্থানে পুলিশ কর্তৃক হেনস্তার শিকার হবার প্রেক্ষিতে এফডিএসআরের প্রতিবাদের মুখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ ধরণের হয়রানি বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।

‘তারপর থেকে এ ধরনের হয়রানির সংখ্যা কমলেও লকডাউনের পঞ্চম দিনে, রোববার হাসপাতাল থেকে ডিউটি শেষে ফেরার পথে এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি একদল পুলিশ কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেভাবে আংশিক ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোভিড রোগীর চিকিৎসা শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ ডা. সাঈদা শওকত জেনির গাড়ি থামিয়ে তার কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এ সময় নিজের পরিচয় ও গাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক ইস্যুকৃত মুভমেন্ট পাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ও বিএসএমএমইউর লোগোসহ ডাক্তারের নামাঙ্কিত অ্যাপ্রোন দেখালে সবকিছুকে ভুয়া বলে পুলিশ ডা. জেনিকে চরমভাবে উত্যক্ত করে।’

এর মাধ্যমে পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসক সমাজকেও হেয় করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুলিশ ডা. জেনির কাছে অন্যায়ভাবে মুভমেন্ট পাস চেয়েছে। অথচ ডাক্তারদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে।

‘চিকিৎসকের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীর বিক্রমের কন্যার পরিচয় দেবার পরেও পুলিশ যেভাবে উদ্ধত ভাষায় কথা বলেছে, তা যুগপৎ আমাদের ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা ভাবতেই পারি না, একজন মহিলা চিকিৎসককে এতগুলো পুরুষ পুলিশ মিলে এমন ঔদ্ধত্যের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে?

‘পুলিশের এই অন্যায়ের প্রতিবাদে সাহসের সঙ্গে রুখে দাঁড়ানোয়’ ডা জেনিকে অভিনন্দনও জানায় তার সংগঠন।

আরও পড়ুনরাজধানীর বিভিন্ন ঢিলেঢালা চেকপোস্ট

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..