বিশেষ সংবাদদাতা:
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। জখম কমপক্ষে ১২ জন। বহু দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্ঘর্ষের খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। তার পরই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
জানা গিয়েছে, হাসনাবাদের মাখালগাছার পাটকেলপোতা গ্রামে রেশনের চাল–ডাল বিলির খবর ছিল আগেই। তাই স্থানীয়রা রেশন দোকানের বাইরে ইট, ব্যাগ, বোতল প্রভৃতি রেখে গত তিনদিন ধরে লাইন দিয়েছিলেন। এদিন ত্রাণ বিলি শুরু হওয়ার সময় দেখা যায় প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে সেই লাইন। দীর্ঘ লাইন দেখে রেশন ডিলার জানিয়ে দেন, এত মানুষকে ত্রাণ দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এত সামগ্রী তাঁর কাছে নেই। এর পরই সরদারপাড়া ও পাটকেলপোতা গ্রামের মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে। গোলমাল চলার সময় একদল দুষ্কৃতী আচমকাই বন্দুক ও বোমা নিয়ে হামলা চালায়। তারা বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিতে শুরু করে। বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। দুষ্কৃতীরা গুলি চালালে আইজুল গাজি নামে এক গ্রামবাসী গুরুতর আহত হন। ঘটনায় ১২ জন জখম হয়েছেন। জখমদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন বলে খবর।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি এই ঘটনার জন্য সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘সিপিএম পরিকল্পিত ভাবেই হামলা চালিয়েছে। তাদের এমন আচরণের নিন্দা করছি। ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেছেন, ‘রেশনের লুঠের চাল ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে নতুন ও পুরনো তৃণমূলের গোলমাল এটা। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া আর কিছু নয়। এর সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই।’