প্রত্যয় ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে। দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। তাতে অন্তত ২১ জন মারা গেছে। গত সাত বছরে দেশটিতে এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসে হাজারো মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত বন্যার কারণে তিন হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপের এই দেশটির দক্ষিণ অংশে বৃষ্টি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বন্যা-ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু ছাড়াও আরও ১১ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পড়ুন: করোনার চেয়েও বড় সংকট আসছে : বিল গেটস
সাউথ জিওলা প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার দক্ষিণের সিউমিজিন নদীতীরের ১০০ মিটার ভেঙ্গে যাওয়ার পর ওই এলাকায় ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। নদীর চারপাশের প্রায় ৫০০ বাসিন্দাসহ ওই প্রদেশের প্রায় দুই হাজার মানুষকে বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদে নেওয়া হয়েছে।
হলিডে আইল্যান্ড ছাড়া দেশটির প্রত্যেকটি অঞ্চরেল জন্য ভূমিধসের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে দেশটি বনাঞ্চল সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা। শুক্রবার সাউথ জিওলার গোকেসং নামে এক গ্রামে ভূমিধসে মাটি চাপা পড়ে পাঁচটি বাড়ি। তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তিনজনকে।
প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়াতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া আবাদী জমি ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী পাক পং জু—তিনি দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি।