দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১১ জনে । শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন নাসিমা।
প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক একটি বড় হাতিয়ার। তাই সবার এখন মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে যাওয়ার আগে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত বলেও পরামর্শ দেন তিনি
এর আগে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। এদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮১ জনে।
বুধবারের ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় আরো ২ হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ১৪০ জন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৩৭ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৪৬।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১২টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৬ লাখ ছুঁই ছুঁই। মারা গেছেন তিন লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৩১ লাখ ৮১ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন